আমেরিকান ইসলামিক রিলেশনসের ম্যারিল্যান্ড শাখার ম্যানেজার জয়নাব চৌধুরী জানান, হাকিমা আবদুল্লে নামের ওই নারী মাথায় হিজাব পরিহিত ছিলেন। পরিবাবের এক গর্ভবতী সদস্যকে সহায়তার জন্য তিনি সিয়াটল যাচ্ছিলেন। হাকিমার দাবি, বিমানের করিডোরের পাশে বসার উদ্দেশ্যে সেই আসনে বসা যাত্রীকে আসন পাল্টানোর প্রস্তাব দেন তিনি। সে যাত্রীও তাতে সায় দেন। এরপর বিমানের এক ক্রু সেখানে এসে হাকিমাকে বলেন যে তারা আসন পাল্টাতে পারবেন না। হাকিমা ক্রু এর কাছে তিনি কেন আসন পাল্টাতে পারবেন না তা জানতে চান। তখন সে ক্রু হাকিমার প্রশ্নের যথাযথ উত্তর না দিয়ে তাকে বিমান থেকে নেমে যেতে বলেন।
আরও পড়ুন: ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে’ মুসলিম পরিবারকে নামিয়ে দিলো যুক্তরাষ্ট্রের বিমান
ইনডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়, পরে পুলিশ যখন বিমানের ক্রুকে জিজ্ঞেস করলো যে হাকিমাকে নামিয়ে দেওয়ার পেছনে কোনও কারণ আছে কিনা। জবাবে না সূচক উত্তর দেন সে ক্রু। বিমানের ওই যাত্রীর ব্যাপারে স্বস্তিবোধ করছিলেন না বলেও জানান তিনি।
পরে হাকিমাকে সুপারভাইজারের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়। আর এর বেশ কয়েক ঘণ্টা পর অণ্য একটি বিমানে করে তাকে সিয়াটলে পাঠানো হয়।
জয়নাব চৌধুরী জানান, ‘ওই ধরনের অভিজ্ঞতার পর হাকিমার মাঝে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। কারণ তাকে যাত্রীভর্তি একটি বিমানে সবার সামনে অপমান করা হয়েছে।’
হাকিমার আইনজীবী উইলিয়াম বারগেস বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে বিমানের যাত্রীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করাটা প্রাদেশিক আইনের লঙ্ঘন।
আরও পড়ুন: মুসলিম নারীদের দৃষ্টিও ভীতিকর! (ভিডিও)
এর আগে গত মাসে তিন সন্তানসহ এক দম্পতিকেও শিকাগো বিমানবন্দরে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের এক বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেসময় নিরাপত্তাজনিত কারণের কথা বলেছিলেন পাইলট। গত বছর মে মাসে তাহেরা আহমেদ নামের একজন নারী একই এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে শিকাগো থেকে ওয়াশিংটন যাচ্ছিলেন। বিমান সহকারী তার জন্য একটি ঢাকনা খোলা ডায়েট কোকের ক্যান নিয়ে আসে। তাহেরা পরিচ্ছন্নতাজনিত কারণে একটি ঢাকনা লাগানো ক্যান চাইলে বিমান সহকারী তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, এটা কোম্পানির নীতিবিরোধী। এরপর তিনি আরেকজনকে ঢাকনা লাগানো ক্যান দিলে তাহেরা প্রতিবাদ জানান। তখন আরেক যাত্রী তাকে গালি দিয়ে বলেন,'তুমি মুসলিম'। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট
/এফইউ/