আত্মরক্ষায় বক্সিং শিখছেন ব্রিটেনের মুসলিম নারীরা

ব্রিটেনে আত্মরক্ষার কৌশল হিসেবে নারীদেরকে বক্সিং শেখাচ্ছেন এক মুসলিম নারী কিক-বক্সার। তার নাম খাদিজা সাফারি। মার্শাল আর্টে ব্ল্যাক বেল্টের অধিকারী তিনি। প্রচুর মুসলিম নারী তার কাছে বক্সিং শিখতে আসছেন। তারা বলছেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে তারা হামলার শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন। আর সে কারণেই তারা বক্সিং শিখতে আগ্রহী হয়েছেন।

খাদিজা সাফারি বলেন, মুসলিম নারীদের সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষেরই একটি প্রচলিত ধারণা যে; তারা বাড়িতে রান্নাবান্না থেকে শুরু করে ধোয়ামোছার মতো গৃহস্থালি কাজে ব্যস্ত থাকেন। আমাকেও তারা সে রকম একজন নারী মনে করেন। কিন্তু এটা তাদের একটা ভ্রান্ত ধারণা। বাস্তবে আমি সে রকম কিছু নই। আমি শক্তিশালী মার্শাল আর্ট শেখাই।

তিনি বলেন, তারা যখন বাইরে ঘুরে বেড়ান তখন তারা খুব একটা স্বস্তি বোধ করেন না। তারা যখন মাথায় স্কার্ফ পরে এখানে সেখানে যান প্রায়শই তারা হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন।

বক্সিং শিখছেন মুসলিম নারীরা।

বক্সিং শিখতে শিখতে হিজাব পরিহিতা এক ছাত্রী বলছিলেন, স্কার্ফ পরার কারণে রাস্তাঘাটে আমাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। বিশেষ করে ব্রাসেলস আর প্যারিসে হামলার পর। এমনকি অনেকে এও বলেছেন যে আমি হয়তো কোনো বোমা বহন করছি।

আরও পড়ুন: ইকুয়েডরে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৬

আরেকজন মুসলিম নারী বলেন, বক্সিং তাকে নতুন করে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। মানুষজন যখন আগে তাকে দেখে চিৎকার করতো, আজেবাজে কথা বলতো তখন তিনি কান্নায় ভেঙে পড়তেন। কিন্তু এখন সে পরিস্থিতি পাল্টেছে।

আরও পড়ুন: ইয়েমেনে মার্কিন ড্রোন হামলায় দুই অস্ট্রেলীয় নিহতের দাবি আল কায়েদার

এই নারী বলেন, ‘তখন আমি বুঝতে পারতাম না কি করতে হবে। কাঁদতে কাঁদতে আমি ঘরের ভেতরে গিয়ে ঢুকতাম। আর বাইরে যেতে চাইতাম না। কিন্তু এখন আমি আর সে রকম মনে করি না।’

আরও পড়ুন: ইরাকে নতুন সরকার গঠনের দাবিতে বিক্ষোভ

খাদিজা সাফারি বলেন, এটা এমন এক মাধ্যম যার মাধ্যমে মুসলিম নারীরা আত্মবিশ্বাস আর সাহস ফিরে পেয়েছে। পাশাপাশি তারা শিখেছেন বিপদের সময় নিজেদেরকে রক্ষা করার কৌশলও। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

/এমপি/