মিসরে মিয়ানমার দূতাবাসে হামলার দাবি হাসম জঙ্গিদের

মিসরীয় জঙ্গি গ্রুপ হাসম মিসরে মিয়ানমারের দূতাবাসে হামলার দাবি করেছে। কায়রোতে অবস্থিত মিয়ানমারের দূতাবাসে শনিবার ছোট একটি বিস্ফোরণ ঘটে। রবিবার, জঙ্গি সংগঠনটি দাবি করেছে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানের কারণে এই হামলা করা হয়েছে।

egypt

শনিবারের বিস্ফোরণের বিষয়ে মিসরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনও মন্তব্য করেনি। স্থানীয় বাসিন্দা ও সংবাদমাধ্যমে প্রাথমিকভাবে গ্যাস পাইপলাইনে ত্রুটি কারণে বিস্ফোরণের কথা বলা হয়। তবে নিরাপত্তায় জড়িত দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, ঘটনাস্থলে বিস্ফোরকের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

রবিবার হামলার দায় স্বীকার জঙ্গি সংগঠনটি বিবৃতিতে জানায়, ‘রাখাইন রাজ্যে মুসলমান নারী ও শিশু হত্যাকারী দূতাবাসের প্রতি এই বোমা হামলা একটি হুঁশিয়ারি। দুর্বল মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রতি সংহতিও।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যাতে কোনও বেসামরিক নাগরিক বা নির্দোর্ষ মানুষ আহত না হয় সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। তা না হলে বিস্ফোরণের ভয়াবহতা টের পেতেন যা কখনও থামানো যেত না।

হামলার বিষয়ে রয়টার্সের পক্ষ থেকে মিয়ানমার দূতাবাসের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

মিসর সরকার হাসমকে মুসলিম ব্রাদারহুডের জঙ্গি শাখা হিসেবে অভিযুক্ত করেছে। ২০১৩ সালে মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকারের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে সংগঠনটি।

২৫ আগস্ট ৩০টি পুলিশ ফাঁড়িতে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) হামলার পর রাখাইনে সামরিক অভিযান জোরদার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সামরিক অভিযানের মুখে পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনের অভিযোগ তুলেছে। কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন মিয়ানমার মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে বলে দাবি করেছে। মিয়ানমার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। সূত্র: রয়টার্স।