সুদানে ৭০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা স্থগিত যুক্তরাষ্ট্রের

সুদানে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে ৭০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ ঘোষণা দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি দেশটিতে অবিলম্বে বেসামরিক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।

অ্যান্টনি বলেন, এই অভ্যুত্থান এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী হামদক-সহ বেসামরিক নেতাদের গ্রেফতার গ্রহণযোগ্য নয়। সামরিক বাহিনীকে গ্রেফতারকৃতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিতে হবে।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি সমর্থন জানাতে সুদানের জনগণের শান্তিপূর্ণভাবে সমবেত হওয়ার অধিকারকে যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর গোলাবারুদ ব্যবহার করেছে; এমন খবরে ওয়াশিংটন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংসতা বন্ধ করা উচিত।

তিনি বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র অবিলম্বে সুদানে ৭০০ মিলিয়ন ডলারের জরুরি অর্থনৈতিক সহায়তা স্থগিত করছে।

সংকট উত্তরণে সুদানের সামরিক ও বেসামরিক প্রতিনিধিদের অবিলম্বে সংলাপে বসার তাগিদ দিয়েছে আফ্রিকান ইউনিয়ন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বলেছেন, দেশটিকে আগের অবস্থানে ফেরাতে আঞ্চলিক সহযোগী দেশগুলোকে এক হয়ে কাজ করার বিকল্প নেই।

২০১৯ সালে দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে সরিয়ে দেওয়ার পর ক্ষমতা ভাগাভাগির দুর্বল একটি চুক্তিতে উপনীত হয় সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক গোষ্ঠীগুলো। ওই চুক্তির আলোকেই গত দুই বছর ধরে দেশটি পরিচালিত হয়ে আসছিল। গত সেপ্টেম্বরে ব্যর্থ এক অভ্যুত্থান চেষ্টা চালায় ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বশিরের অনুগত সেনারা। ওই ঘট্নায় সরকারের সামরিক ও বেসামরিক অংশগুলো বিভক্ত হয়ে পড়ে। উভয়  পক্ষের মধ্যে আস্থার সংকট দেখা দেয়।

এর মধ্যেই সোমবার ভোরে দেশটিতে অভ্যুত্থানের খবর আসে। পরে সেনাপ্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে বেসামরিক ও সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে যে চুক্তি হয়েছিল সেটি দেশের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা।