দ. আফ্রিকায় টিকা দেওয়ার হার এখনও উদ্বেগজনক

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রথম শনাক্ত হয়েছে করোনাভাইরাসের ‘উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট’ ওমিক্রন। আর এই দেশটিতেই করোনার প্রতিষেধক টিকা দেওয়ার হার এখনও কম। যা খুবই উদ্বেগজনক।

দেশটির সরকারের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকার মাত্র ৪১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মাত্র এক ডোজ করোনার টিকা নিয়েছেন। আর দুই ডোজের আওতায় এসেছেন ৩৫ শতাংশ।

টিকায় পিছিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা

নতুন ভ্যারিয়েন্ট এবং টিকাদানের হার সব মিলিয়ে দেশটির মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছে। দ.আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জোসেফ পাহালা বলেন, আমরা খুবই দুশ্চিন্তায় আছি এই কারণে যে, আক্রান্তদের অধিকাংশই তরুণ। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

দেশটির ১৮ থেকে ৩৫ বছরের ২৬ শতাংশ মানুষ এক ডোজ নিয়েছেন আর ২১ শতাংশ দুই ডোজ নিতে সক্ষম হয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের ধারণা টিকা নিয়ে ভুল তথ্য বড় ভূমিকা পালন করছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অনেক ইতিবাচক প্রমাণ থাকা সত্বেও ভ্যাকসিন সুরক্ষা সম্পর্কেও ভুল ধারণা রয়েছে। আফ্রিকার অনেক লোক ভ্যাকসিন নিয়ে ভুল ধারণা পোষণ করে। ফলে আক্রান্তের হারও বাড়ছে।

এদিকে, ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালু করাকে অনেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণ বিদ্বেষের যুগের সঙ্গে তুলনা করছেন। সেই আমলে কৃষ্ণাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকানদের পাসপোর্ট বহন করতে হতো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডব্লিউএইচও দরিদ্র দেশগুলোর মাঝে সঠিকভাবে টিকা বন্টনের তাগিদ দিয়ে আসলে এক্ষেত্রে অনেকটা উদাসীন ধনী দেশগুলো। ফলে যথাসময়ে টিকা না পাওয়ায় দরিদ্র দেশে করোনায় মৃত্যুর মিছিলও থামছে না।