জাতিসংঘের প্রায় ১২৩টি সদস্যরাষ্ট্র অক্টোবর মাসে আইনগতভাবে পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধ চুক্তির ব্যাপারে আলোচনার লক্ষে জাতিসংঘের এই সম্মেলন শুরুর ঘোষণা দেয়। এমনকি বিশ্বের অধিকাংশ ঘোষিত ও অঘোষিত পরমাণু অস্ত্রধারী রাষ্ট্র এই বৈঠকের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইসরায়েল,রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এই বৈঠকের ওপর ‘না’ ভোট দিয়েছে। অপর পরমাণু ক্ষমতাধর দেশ চীন, ভারত ও পাকিস্তান ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে।
এমনকি পরমাণু অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত একমাত্র দেশ জাপানও বৈঠকটির বিরুদ্ধে মত দিয়েছে।
১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকির ওপর পরমাণু অস্ত্র ফেলে মিত্র বাহিনী।
জাপান বৈঠকটির বিরোধিতা করে যুক্তি দেখিয়েছে, ঐক্যের অভাবে এ ধরনের আলোচনা পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের কার্যকর প্রক্রিয়াকে ব্যহত করতে পারে।
বৈঠকের পক্ষে যে রাষ্ট্রগুলো রয়েছে তাদের মধ্যে অস্ট্রিয়া, আয়ারল্যান্ড, মেক্সিকো, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও সুইডেন অন্যতম। এছাড়াও কয়েকশ’ এনজিও বৈঠকের পক্ষে নিজেদের সমর্থন দিয়েছে।
পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধের পক্ষের সমর্থকদের দাবি, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি ও ওয়াশিংটনের নতুন হঠকারি প্রশাসনের কারণে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে পরমাণু বিপর্যয়ের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস।
/এএ/