বাক্সবোমার পেছনে থাকতে পারে বর্ণবাদ

তিনটি ভিন্ন স্থানে বাক্সবোমায় অন্তত ২ জন মারা যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিনে বসবাসকারীদের সন্দেহজনক বাক্সের বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পুলিশ মনে করে, তিনটি বাক্সবোমা বিস্ফোরণের মধ্যে মিল আছে। ডয়েচে ভেলের  প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, টেক্সাস রাজ্যের অস্টিনে হওয়া এই বিস্ফোরণগুলো বর্ণবাদী হামলাও হয়ে থাকতে পারে। parcel

গত দশ দিনে অস্টিনের তিনটি স্থানে বাক্সবোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। প্রথম বাক্সবোমা হামলার ঘটনা ঘটে মার্চের ২ তারিখে। এরপর আরও দুটি বিস্ফোরিত হয়েছে গত সোমবার। প্রথম বিস্ফোরণে ৩৯ বছর বয়সী একজন পুরুষ মারা যান। আর সোমবারের প্রথম বিস্ফোরণে মারা যায় ১৭ বছর বয়সী একটি ছেলে। ওই সময় একজন নারীও আহত হয়েছেন। সোমবারের দ্বিতীয় বিস্ফোরণে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন আরেকজন বয়স্ক হিস্পানিক নারী।

প্রতিটি ঘটনায় দেখা গেছে, কেউ ভুক্তভোগীর বাসার দরজায় বাক্সবোমা রেখে গেছে। যাদের বাসায় বোমাগুলো রেখে যাওয়া হয়েছে তারা সবাই অশ্বেতাঙ্গ। পুলিশও মনে করছে, এই ঘটনাগুলো একই সূত্রে গাঁথা। অস্টিনের পুলিশ প্রধান ব্রায়ান ম্যানলে সংবাদসম্মেলনে বলেছেন, ‘ঘটনাস্থলগুলোতে আমরা যেসব আলামত পেয়েছি তাতে ধারণা করা যায়, ঘটনাগুলো পরস্পর সম্পর্কিত। ভুক্তভোগীদের দুজন কালো পুরুষ আর একজন হিস্পানিক নারী। সুতরাং তাদের পরিচয় তাদের ওপর আক্রমণের কারণ কি না সে বিষয়টিও আমদের বিবেচনাতে আছে।’

পুলিশ ধারণা করছে, বাক্সবোমাগুলো ডাক ব্যবস্থার মাধ্যমে যায়নি। বরং কেউ হাতে করে নিয়ে রেখে গেছে। বাক্স হাতে নেওয়ার পর বা খোলার সময়ে সেগুলো বিস্ফোরিত হয়ে থাকতে পারে। অস্টিনের সবাইকে সন্দেহজনক বাক্স খোলার বিষয়ে সতর্ক করেছে পুলিশ। এফবিআই অস্টিন পুলিশকে তদন্তে সাহায্য করছে।