চতুর্থ মেয়াদে শপথ নিলেন নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা

টানা চতুর্থ মেয়াদের জন্য শপথ নিয়েছেন নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা। সোমবার এই শপথের কয়েক ঘণ্টা আগে দেশটির সরকার সংশ্লিষ্ট কয়েক ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গত বছরের যে নির্বাচনে ওর্তেগা বিজয়ী হন সেই নির্বাচনকে ‘লজ্জা’ আখ্যা দিয়েছে ওয়াশিংটন।

গত বছরের ৭ নভেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী হন ড্যানিয়েল ওর্তেগা। এই নির্বাচনের আগে তার বেশিরভাগ রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিকে কারাগারে রাখা হয়। এর জেরে বিশ্ব জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই নির্বাচনকে ‘পুতুল নির্বাচন’ আখ্যা দেন। সাবেক মার্ক্সবাদী গেরিলা এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্নায়ুযুদ্ধের আমলের প্রতিদ্বন্দ্বি ওর্তেগা ক্রমেই কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠছেন বলে অভিযোগ করেন বাইডেন।

সোমবার সন্ধ্যায় ড্যানিয়েল ওর্তেগার শপথ অনুষ্ঠান বর্জন করে বেশিরভাগ পশ্চিমা এবং আঞ্চলিক দেশ। তবে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এবংস কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল ডায়াজ কানেলের মতো বামপন্থী নেতারা সমর্থন প্রদর্শনে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সম্প্রতি দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা চীনও ওই অনুষ্ঠানে প্রতিনিধি পাঠায়।

২০০৭ সাল থেকে নিকারাগুয়ার ক্ষমতায় রয়েছে ড্যানিয়েল ওর্তেগার সরকার। সোমবার সন্ধ্যায় তার শপথের আগে নিকারাগুয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ কয়েক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

গত নভেম্বরে নিকারাগুয়ার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারেনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস এর প্রতিনিধিরা। এমনকি সাংবাদিকদেরও দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়নি। মার্কিন রাজস্ব দফতরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রীয় সহিংসতা, ভুয়া তথ্য ছড়ানো এবং সংবাদমাধ্যমকে লক্ষ্যবস্তু বানানোয় নিকারাগুয়ার ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার জবাবে প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা তার ভাষণে বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপের নৈতিক কর্তৃত্ব যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেই। তিনি বলেন, ‘তারা আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়।’

সূত্র: রয়টার্স