ব্রাজিলে প্রথম দফায় এগিয়ে লুলা, দ্বিতীয় দফায় গড়ালো নির্বাচন

দ্বিতীয় দফায় গড়ালো ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। প্রথম দফায় সর্বোচ্চ ৪৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বহুল আলোচিত বামপন্থী রাজনীতিক লুইজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভা। তবে নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য একজন প্রার্থীকে সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হয়। প্রথম দফার নির্বাচনে কোনও প্রার্থী সেটি নিশ্চিত করতে না পারায় ভোটগ্রহণ দ্বিতীয় দফায় গড়িয়েছে।

রবিবার প্রকাশিত প্রথম দফার ফলাফলে ৪৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন লুলা দ্য সিলভা। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো পেয়েছেন ৪৩ শতাংশ ভোট। বাকি প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের হার চার শতাংশ, তিন শতাংশ কিংবা তারও কম।

আগামী ৩০ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে শুধু প্রথম দফার নির্বাচনে প্রথম ও দ্বিতীয় হওয়া দুই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ফলে লুলা ও বলসোনারোর মধ্যে একজনকে বেছে নিতে আরও প্রায় চার সপ্তাহ সময় পাবেন ভোটাররা।

২০১৮ সালের নির্বাচনে লুলা জেলে ছিলেন, তাই তিনি লড়তে পারেননি। এবার তিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। ফলে তিনি নৈতিক জয় দাবি করতে পারেন। আবার ভোট সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, লুলার থেকে অনেক পিছিয়ে আছেন বলসোনারো। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, বলসোনারো অতটা খারাপ করেননি।

বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম গণতন্ত্র ব্রাজিলের এবারের নির্বাচনে দুই প্রধান প্রার্থী দুই মেরুর। জনগত জরিপে লুলা এগিয়ে থাকায় বলসোনারোকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এমন ফল এলে তিনি মানবেন কি না? কিন্তু তিনি সেই প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন।

২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসেন অতি দক্ষিণপন্থি রাজনীতিক বলসোনারো। তার প্রতিশ্রুতি ছিল, তিনি রাজনীতিকে স্বচ্ছ করবেন এবং আর্থিক সংস্কার করবেন। কিন্তু বলসোনারো করোনাকে আমল না দিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন। তিনি ব্রাজিলের মানুষের জীবনযাত্রার মানও বাড়াতেও ব্যর্থ বলে অভিযোগ উঠে।

অন্যদিকে বামপন্থি লুলা ২০০২ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি গরিবদের সাহায্য করার জন্য প্রচুর সামাজিক প্রকল্প হাতে নেন। ২০১৭ সালে দুর্নীতির দায়ে তার ১০ বছরের জেল হয়। ফলে তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে লড়তে পারেননি। গত বছর সুপ্রিম কোর্ট তার বিরুদ্ধে আনা বিভিন্ন অভিযোগ খারিজ করে দেয়। তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণেরও অনুমতি দেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। সূত্র: ডিডাব্লিউ, বিবিসি।