‘মানসিক বিকারগ্রস্ত’ ট্রাম্পের কারণে পারমাণবিক কর্মসূচি প্রয়োজন: কিম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘মানসিক বিকারগ্রস্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন। তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের কারণেই উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি গড়ে তোলা সঠিক এবং জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণের জন্য মূল্য দিতে হবে। জাতিসংঘে ট্রাম্পের দেওয়া ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় বিরল এক বিবৃতিতে কিম এসব কথা বলেছেন।

North-Korea-USA-nuclear-weapons-Donald-Trump-Kim-Jong-un-nukes-803421

মঙ্গলবার জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প উল্লেখ করেছিলেন, যদি আমেরিকা নিজেকে রক্ষায় বাধ্য হয় তাহলে উত্তর কোরিয়াকে একেবারে ধ্বংস করে দেওয়া হবে। ভাষণে ট্রাম্প উত্তর কোরীয় নেতাকে ‘আত্মঘাতী অভিযানে’ থাকা ‘রকেট ম্যান’ হিসেবেও ব্যঙ্গ করেন।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ-তে প্রকাশিত বিবৃতিতে কিম বলেন, ট্রাম্পের মন্তব্য আমাকে ভীত বা থামানোর পরিবর্তে অনুধাবন করিয়েছে যে পথ আমি  নিয়েছি তা সঠিক এবং শেষ পর্যন্ত আমাকে এই পথই অনুসরণ করতে হবে।

কিম বলেন, ‘ট্রাম্প যখন আমার দেশের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন, আমাকে ও আমার দেশকে বিশ্বের সামনে অবজ্ঞা করেছেন এবং ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন।’ ফলে উত্তর কোরিয়া ‘ভাষণের কারণে ট্রাম্পকে যাতে কঠিন মূল্য দিতে হয় সেজন্য সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করবে।’

বিবৃতির শেষ দিকে কিম বলেছেন তিনি ‘অবশ্যই আগুনের মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের মানসিক বিকারগ্রস্ত এই বৃদ্ধকে হাতের মুঠোয় আনবেন।’

ট্রাম্পের হুমকিকে ‘কুকুরের ডাক’  এর সঙ্গে তুলনা করলেন উত্তর কোরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং।  তিনি বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগীদের জন্য তার ‘খারাপ’ লাগে। বুধবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ না করায় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় উত্তর কেরিয়ার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করা মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর নজরদারি ও ব্যবস্থার অনুমতি পেয়েছে মার্কিন অর্থ বিভাগ।

নতুন নিষেধাজ্ঞায় স্বাক্ষর করার পর ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষার ঠেকাতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় অনেক উৎসই বন্ধ হয়ে যাবে। টেক্সটাইল খাত, মৎস, তথ্য প্রযুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করেন ট্রাম্প। সূত্র: বিবিসি।