চীনে প্রবল বন্যা, দুর্যোগ আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা

ভারী বৃষ্টিপাতে চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রবল বন্যা হচ্ছে। বন্যায় চীন জুড়ে ধ্বংস হয়েছে সেতু, রাস্তা ও রেললাইন। হাজার হাজার মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শনিবার চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বরাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সংশ্লিষ্টরা আরও বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করছেন। এতে বৃদ্ধি পাবে বন্যার প্রকোপ। বন্যার পাশাপাশি সিচুয়ান প্রদেশে ভূমিধসের আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।static.reuters.comবছরের এ সময়ে চীনে প্রতিবছরই ভারী বৃষ্টিপাত হয়। বন্যাও দেখা দেয়। সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে চীনে শখানেক মানুষের মৃত্যু হয়। তবে এবার মৃত্যুর সংখ্যা কম। এখন পর্যন্ত মাত্র ১২ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার চীনের বেশ কিছু অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৮০০ মিলিমিটার সীমা অতিক্রম করতে পারে। সংস্থাটি সরকারকে বড় স্থাপনা ধসের বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দিয়েছে।

রয়টার্স লিখেছে, ইউনান থেকে দক্ষিণ পশ্চিমে জিয়াংশু এবং পূর্বে সাংহাইতে প্রবাহিত হওয়া বন্যাপ্রবণ ইয়াংজে নদীতে পানির পরিমাণ অনেক বেড়েছে। এতে সংযুক্ত নদীগুলোর কয়েকটির আশেপাশের এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম জিনহুয়া জানিয়েছে, শুক্রবার চংকিং শহরের ৮০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উত্তর চীনে প্রবাহিত হুয়াং হো নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে সানজি প্রদেশের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

উত্তরপশ্চিমের আরেকটি প্রদেশ গাংশুতে বন্যায় ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ইনার মঙ্গোলিয়ার আরিদ এলাকা সাধারণত শুষ্ক থাকলেও গত শুক্রবার সেখানকার কর্তৃপক্ষ বন্যার বিষয়ে আগাম সতর্কতা জারি করেছে।

চীনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ৩৫ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।