আফগানিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত অন্তত সাত

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি মন্ত্রণালয়ের ভবনের পাশে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়েছে। রবিবার ছুটির পর কর্মকর্তাদের অফিস থেকে বের হওয়ার সময় হামলাটি চালানো হয়। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত সাত জন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১৫ জন। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মাসখানেক আগেও ওই মন্ত্রণালয়কে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছিল।s3.reutersmedia.net

আফগানিস্তানের ‘রুরাল রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা ফ্রাইদুন আজহাদ রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ের গেটের বাইরে খুব সম্ভবত একজন আত্মঘাতী হামলাকারী বিস্ফোরণটি ঘটিয়েছে। এর লক্ষ্য ছিল আমাদের মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা, যারা সেসময় অফিস থেকে বের হচ্ছিলেন।’ সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি, হামলার জন্য কারা দায়ী। আর কেনই বা ‘রুরাল রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ মন্ত্রণালয়কে লক্ষ্য করে বারবার হামলা চালানো হচ্ছে তাও স্পষ্ট নয়।

কাবুল পুলিশের মুখপাত্র হাসমত স্টানেকজাই জানিয়েছেন, হামলায় মন্ত্রণালয়ের বিদেশি পরামর্শকদের একটি গাড়ি ধ্বংস হয়েছে। তবে বিদেশি পরামর্শকদের কারও নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

180715093851-kabul-suicide-attack-0715-exlarge-169ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমস জানিয়েছে, গত জুনের ১১ তারিখে ‘রুরাল রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ মন্ত্রণালয়কে লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়েছিল। বাড়ি ফেরার জন্য বাসে ওঠার লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। সেসময় তাদেরকে লক্ষ্য করে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। হামলায় ১৩ জন প্রাণ হারান, আহত হন ৩১ জন। ওই হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছিল ইসলামিক স্টেট।
রবিবারেই এমন হামলার ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে করা হয়েছে, ২০১৮ সালের এ পর্যন্ত রেকর্ড সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যাদের সিঙ্ঘভাগের মৃত্যুর কারণ আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ও জঙ্গি হামলা। আফগানিস্তানে এ বছর এ পর্যন্ত এক হাজার ৬৯২ জন নিহত হয়েছেন।
‘ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসিসটেন্স মিশন ইন আফগানিস্তান’ (ইউএনএএমএ) জানিয়েছে এসব হামালার ঘটনার ৫২ শতাংশের জন্য দায়ী ইসলামিক স্টেট। আর আফগান তালেবান রয়েছে এমন ৪০ শতাংশ হামলার পেছনে।