হাসপাতালে হামলার ঘটনায় ইমরান খানের ভাতিজাকে খুঁজছে পুলিশ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাতিজা হাসান নিয়াজিকে গ্রেফতারের জন্য খুঁজছে পুলিশ। একটি হাসপাতালে সহিংসতায় তিন রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় তাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে চায়। এজন্য লাহোর পুলিশ তার বাস ভবনে অভিযান চালিয়েছে এবং তারা বলছে হয়ত আত্মগোপনে আছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

_110115837_058579066

হাসান নিয়াজিসহ কয়েকশ আইনজীবী হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে পাঞ্জাবের একটি হাসপাতালে ভাঙচুর করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ঘটনার প্রকাশিত বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, কালো স্যুট ও টাই পরা আইনজীবীরা হাসপাতালের কর্মীদের মারধর ও ভাঙচুর করছেন। হাসান নিয়াজির ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে ইমরানের ভাতিজাকে সামনের সারিতে থেকে মরধর করতে দেখা গেছে। এছাড়া পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার সময়ও তিনি ছিলেন। ঘটনার পর আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীদের আটক করে ঘটনাস্থল থেকে পাহারা দিয়ে সরিয়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু ঘটনার প্রতিবেদনে হাসানের নাম না থাকায় শুরু হয় সমালোচনা।

তাকে আটকের পর কী ঘটেছে তা ব্যাখ্যা করেনি পুলিশ। তবে শহরটির পুলিশ প্রধানের এক মুখপাত্র বলেছেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে হাসান নিয়াজিকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

টুইটারে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ইমরানের ভাতিজা।

তবে তার চাচা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বুধবারের সহিংসতার ঘটনায় নিজের পরিবারের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে কোন ক্ষোভ প্রকাশ করেননি। অথচ তিনি নিয়মিতই টুইট বার্তা প্রকাশ করে থাকেন।