আফগানিস্তানে তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র সাময়িক যুদ্ধবিরতি শুরু

আফগানিস্তানে তালেবান, যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। শুক্রবার থেকে এক সপ্তাহের এই চুক্তি কার্যকর শুরু হয়। এর ফলে দীর্ঘ ১৮ বছরের যুদ্ধের ইতি টানতে শান্তি চুক্তির প্রত্যাশা জোরদার হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এখবর জানিয়েছে।

00ea7e8aadf746c488fdf6abc991beca_18

খবরে বলা হয়েছে, তালেবান ও মার্কিন প্রতিনিধিদের আলোচনার ভিত্তিতে এই চুক্তি চূড়ান্ত হয়। যদি এই সাময়িক চুক্তি বাস্তবায়িত হয় তাহলে তা শান্তি চুক্তিতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার মধ্য দিয়ে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার করা হতে পারে।

টেলিভিশন ভাষণে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ঘোষণা দেন, সহিংসতা কমিয়ে আনার সাময়িক চুক্তি স্থানীয় সময় শুক্রবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর শুরু হবে। এই সপ্তাহে আফগান সেনাবাহিনী রক্ষণাত্মক সক্রিয় অবস্থান বজায় রাখবে।

এর আগে আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মুখপাত্র হামদুল্লাহ মোহিব জানান, সাময়িক চুক্তির সময়ে আফগান সেনাবাহিনী আইএসের মতো অপর সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে স্বাভাবিক সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের প্রেসিডেন্ট নিজেই নির্দেশনা দিয়েছেন কীভাবে এই সময়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

এই সমঝোতা লঙ্ঘণ করলে আফগানবাহিনী পাল্টা হামলাতে প্রস্তুত থাকবে বলেও জানান এই মুখপাত্র।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও শুক্রবার এই সাময়িক যুদ্ধবিরতি চুক্তি সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে ২৯ ফেব্রুয়ারি তালেবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।

পম্পেওর ঘোষণার পর তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদও অগ্রগতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, উভয়পক্ষই শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তাদের সিনিয়র প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানাবে।

তালেবানের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আলোচনার পর এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

আফগান সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান ২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানের মুখে ক্ষমতা থেকে উৎখাত হয়। এর আগে আফগান সরকারকে মার্কিন পুতুল উল্লেখ করে তাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।

২০০৯ সাল থেকে আফগানিস্তানে ১ লাখের বেশি আফগান নাগরিক নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৪ হাজার বেসামরিক ও বেশিরভাগই শিশু।