ভারতে মহামারি নিয়ন্ত্রণে আসবে ফেব্রুয়ারিতে

ভারত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চূড়া অতিক্রম করেছে এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে মহামারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। রবিবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এখবর জানিয়েছে।

images-1-2020-10-18T171905.695

দুই মাসের বেশি সময় ধরে বিশ্বে দৈনিক করোনা তালিকার শীর্ষে রয়েছে ভারত। ইতোমধ্যে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর আগে অনেকবার ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, সংক্রমণের চূড়ায় পৌঁছায়নি ভারত।

ভারতে করোনা সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি ও প্রতিকারের উপায় খুঁজতে এই কমিটি নিযুক্ত করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কমিটির দায়িত্ব ছিল ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সুপারমডেল’ নামে একটি গাণিতিক মডেল তৈরি করা, যা দেশে করোনা মহামারি প্রভাব এবং প্রতিকার সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।

আইআইটি হায়দরাবাদের অধ্যাাপক এম বিদ্যাসাগরের নেতৃত্বাধীন বিশেষজ্ঞ কমিটি ভারতে মহামারিকে কম্পিউটার মডেলের মাধ্যমে ম্যাপিং করে দেখিয়েছে, মধ্য সেপ্টেম্বরেই করোনা গ্রাফ চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল।

বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসতে আসতে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৬ লাখের কাছাকাছি হবে। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ভারতে আরও ৩০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হবেন।

কমিটির দাবি, ভারতে লকডাউনের সুফল পাওয়া গেছে। মার্চ থেকে লকডাউন জারি না হলে মৃতের সংখ্যা ২৫ লাখ ছাড়িয়ে যেতন। কিন্তু লকডাউনের ফলে সংক্রমণ অতিমাত্রায় ছড়াতে পারেনি। তবে আর লকডাউনের দরকার নেই বলে দাবি করেছে এই কমিটি।

এদিকে, রবিবারও ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬১ হাজার ৮৭১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে এ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে আরও এক হাজার ৩৩ জনের। শনিবার সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশটির এমন করোনা পরিস্থিতির এ পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতর।

সরকারি হিসাবে, ভারতে এখন পর্যন্ত মোট ৭৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫৫১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে এক লাখ ১৪ হাজার ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে উঠেছে ৬৫ লাখ ৯৭ হাজার ২০৯ জন। বর্তমানে ৭ লাখ ৮৩ হাজার ৩১১ জন সক্রিয় করোনা রোগী হাসপাতাল কিংবা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে।