দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন নৌবহরের প্রবেশ

তাইওয়ান নিয়ে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যকার উত্তেজনার মধ্যেই দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবেশ করেছে একটি মার্কিন নৌবহর। ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্ট নামের রণতরীর নেতৃত্বে এই নৌবহরটি সাগরে প্রবেশ করেছে। রবিবার মার্কিন সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

শনিবার চীনের আটটি বোমারু ও চারটি ফাইটার জেট বিমান তাইওয়ানের দক্ষিণপশ্চিমের বিমান প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমন অভিযোগের পরই অঞ্চলটির ওপর চাপ প্রয়োগ থামাতে বেইজিং-এর প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা বেইজিংকে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে তার সামরিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বন্ধের আহ্বান জানাই। চাপ প্রয়োগের বদলে বেইজিংকে তাইওয়ানের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে অর্থবহ সংলাপে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন নৌবহর প্রবেশ করলো।

মার্কিন সেনাবাহিনীর ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবার এই নৌবহর প্রবেশ করেছে। এই নৌবহর সাগরের স্বাধীনতার পক্ষে প্রচার চালাবে।

বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরের বড় অংশের মালিকানা দাবি করে আসছে চীন। তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রায়ই সেখানে নৌযান পাঠায়।

চীন অভিযোগ করেছে, মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ চীনের দখলকৃত দ্বীপের কাছাকাছি। এসব দ্বীপের আশেপাশে রয়েছে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ব্রুনেই ও তাইওয়ান। সবগুলো দেশই দক্ষিণ চীন সাগরের বিভিন্ন অংশের মালিকানা দাবি করে আসছে।

মার্কিন রণতরী থিওডোর রুজভেল্টের নেতৃত্বাধীন নৌবহরে রয়েছে টিকোনডেরোগা-ক্লাস গাইডেড মিসাইল ক্রুজার ইউএসএস বাংকার হিল এবং আলেইগ বার্কে-ক্লাস গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস রাসেল, ইউএসএস জন ফিন।