মিয়ানমারের সেনা সংশ্লিষ্ট সব অ্যাকাউন্ট ও বিজ্ঞাপন বন্ধ করলো ফেসবুক

অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের জেরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট সব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক। বৃহস্পতিবার একই সঙ্গে সেনা নিয়ন্ত্রিত সব কোম্পানির বিজ্ঞাপনও ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এর আগে মিয়ানমার সেনাবাহিনী পরিচালিত মূল পেজটি মুছে দিয়েছে ফেসবুক। গত রবিবার সামাজিক যোগাযোগের প্লাটফর্মটি জানায় সহিংসতায় উসকানির নীতিমালা ভঙ্গ করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ফেসবুকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ইনস্টাগ্রামেও একই নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।

নতুন সেনা সংশ্লিষ্ট সব অ্যাকাউন্ট ও বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দিয়ে ফেসবুক জানিয়েছে, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ের বিক্ষোভে প্রাণঘাতী সহিংসতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশটির অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিকে জরুরি অবস্থা বিবেচনা করার কথা জানিয়েছে ফেসবুক।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে ঘৃণাবাদী প্রচারণা ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়ে ফেসবুক গত কয়েক বছর ধরেই দেশটির নাগরিক অধিকার কর্মী এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ শুরু করেছে। ২০১৮ সালে ফেসবুক মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং ছাড়াও আরও ১৯ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে নিষিদ্ধ করে। এছাড়া সমন্বিতভাবে ঘৃণা ছড়ানোর দায়ে সেনা সদস্যদের পরিচালিত শত শত পেজ ও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সেনা অভ্যুত্থানের পর শুরু হওয়া বিক্ষোভ সামলাতে মিয়ানমারের জান্তা সরকার ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়েছে। তবে জান্তা সরকারের সেই প্রচেষ্টা কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। বাধ্য হয়ে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রাতের বেলা ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখছে জান্তা সরকার।