ভিডিও লিংকের মাধ্যমে আদালতে হাজির হলেন সু চি

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো দেখা গেলো দেশটির গৃহবন্দি নেত্রী অং সান সু চিকে। সোমবার ভিডিও লিংকের মাধ্যমে আদালতের শুনানিতে অংশ নেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, উৎখাত হওয়া নেত্রীর স্বাস্থ্য ভালো আছে এবং নিজের আইনজীবী দলের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন।

১ ফেব্রুয়ারি সামরিক শাসন জারির পর সু চি’র বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

৭৫ বছরের সু চিকে অভ্যুত্থানের আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। সোমবার শুনানির আগে আর তাকে দেখা যায়নি।

গত এক মাস ধরে তাকে কোথায় রাখা হয়েছে তা নিয়ে অস্পষ্টতা ছিল। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে রাজধানী নেপিদোতে তার নিজ বাড়িতে গৃহবন্দি রাখা হয়। পরে তাকে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সু চির বিরুদ্ধে ওয়াকি টকি অবৈধভাবে আমদানি ও দেশটির প্রাকৃতিক দুর্যেোগ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে সোমবার তার বিরুদ্ধে আরও দুটি নতুন অভিযোগ আনা হয়।

প্রথম দুটি অভিযোগে তার তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে নতুন দুটি অভিযোগের সাজা সম্পর্কে জানা যায়নি। বিবিসি জানিয়েছে, দোষী সাব্যস্ত হলে ভবিষ্যতে আর নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না এই নেত্রী।

১৫ মার্চ পর্যন্ত মামলার শুনানি স্থগিত রাখা হয়েছে।

তার আইনজীবী খিন মাউং ঝাউ জানান, তিনি সু চি’র দেখা পাননি এবং ছোট একটি কক্ষে বসে শুনানি শুনতে তাকে বাধ্য করা হয়েছে।

দেশটির স্থানীয় বার্তা সংস্থা মিয়ানমার নাউ জানিয়েছে, উৎখাত হওয়া প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির আওতায় রাষ্ট্র্রদ্রোহিতার উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।