মিয়ানমারে আরও দুই বিক্ষোভকারীকে হত্যা

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর চালানো গুলি মাথায় বিদ্ধ হয়ে আরও দুই জন নিহত হয়েছে। সোমবার উত্তরাঞ্চলীয় শহর মিয়িতিকিনায় তাদের হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত থাকলেও তারা কাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ আরও জোরালো হচ্ছে। সেনাশাসকদের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে সোমবার ধর্মঘটের ডাক দেয় দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ট্রেড ইউনিয়নগুলো। ধর্মঘটের ফলে বন্ধ থাকে বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের দোকানপাট, কলকারখানা। নির্মাণ, কৃষি ও পণ্য উৎপাদনসহ অন্তত নয়টি খাতের ট্রেড ইউনিয়ন সোমবারের ধর্মঘটে অংশ নেয়। এছাড়া আইন প্রয়োগের অজুহাতে হাসপাতাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়েও মোতায়েন করা হয় নিরাপত্তা বাহিনী।

দেশব্যাপী ধর্মঘটের সময় সোমবার মিয়িতিকিনায় দুই বিক্ষোভকারী নিহত হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, নিহত দুই বিক্ষোভকারীর মরদেহ রাস্তায় পড়ে রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অভুত্থানবিরোধী বিক্ষোভের সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড এবং টিয়ারগ্যাস ছোড়ে। সেই সময় কাছের একটি ভবনে থাকা বেশ কয়েক জন গুলিবিদ্ধ হয়।

মরদেহ সরাতে সাহায্য করা এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, নিহত দুই জনের মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। আরও তিন জন আহত হয়েছেন। ২০ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা কতটা অমানবিক হতে পারে। আমাদের অবশ্যই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকার রয়েছে।’

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারে ৫০ জনের বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে।