সামরিক সহায়তা জোরালো করার অঙ্গীকার জাপান-ইন্দোনেশিয়ার

চীনা প্রভাব মোকাবিলায় সামরিক সহায়তা জোরালো করার অঙ্গীকার করেছে জাপান ও ইন্দোনেশিয়া। মঙ্গলবার টোকিওতে দুই দেশের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোসিমিতসু মোতেগি বৈঠকের শুরুতে বলেন আন্তর্জাতিক শান্তি ও সমৃদ্ধিকে সমর্থন করা পদক্ষেপ নেওয়া প্রতিনিয়ত কঠিন হয়ে উঠছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

চীন-মার্কিন সম্পর্কের অন্যতম ইস্যু হয়ে উঠেছে পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সমুদ্রে বেইজিংয়ের আঞ্চলিক দাবি। আর এই ইস্যুকে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করে জাপান। সম্প্রতি এই অঞ্চল সফর করে গেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। তিনি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে প্রতিবেশিদের সঙ্গে চীনের আগ্রাসী নীতির সমালোচনা করে গেছেন। ওই সফরের পরই টোকিওতে বৈঠক করেছেন জাপান ও ইন্দোনেশিয়ার মন্ত্রীরা।

বৈঠকের শুরুতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোসিমিতসু মোতেগি বলেন, ‘আজ আমি আমাদের ব্যাপক মাত্রার সহযোগিতাকে উচ্চতর মাত্রায় নিয়ে যেতে আলোচনা করতে চাই।’ ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদিও একই রকম মত প্রকাশ করেন। এছাড়া মিয়ানমার পরিস্থিতি এবং করোনা মোকাবিলা নিয়ে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছেন বলেও জানান তিনি।

মিয়ানমারে গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর জান্তা সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরুর প্রচেষ্টায় রয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি। মিয়ানমারের সঙ্গে জাপানের নিবিড় ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে। মিয়ানমারে চলমান হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে টোকিও। তবে এখন পর্যন্ত দেশটির সেনা সরকারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।