দক্ষিণ চীন সমুদ্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইনের আলোচনা

বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সমুদ্রে বেইজিংয়ের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে নিজেদের উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বুধবার এই আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এবং ফিলিপাইনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হারমোগনেস এসপেরন ওই এলাকায় তৈরি হওয়া চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দুই দেশের নিবিড় সমন্বয় চালিয়ে যাওয়ায় সম্মত হয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত বুধবার ম্যানিলার তরফে দাবি করা হয় দক্ষিণ চীন সমুদ্রে ফিলিপাইনের সার্বভৌম এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চীনা জাহাজ। গত সপ্তাহে এনিয়ে কূটনৈতিক বিরোধ হলেও চীনা জাহাজটির বিচরণ এলাকা আরও বেড়েছে বলে দাবি করা হয়। ম্যানিলার তরফে এই অভিযোগ তোলার পর এনিয়ে আলোচনা করেন ফিলিপাইন ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।

হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আইনের ভিত্তিতে মিত্র ফিলিপাইনের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। এছাড়া দক্ষিণ চীন সমুদ্রে মার্কিন-ফিলিপাইন প্রতিরক্ষা চুক্তি প্রয়োগের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

এর আগে বেইজিংকে দক্ষিণ চীন সমুদ্র থেকে জাহাজ প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানায় ম্যানিলা। তবে চীনের দাবি ওই এলাকায় থাকা জাহাজগুলো মাছ ধরা জাহাজ আর খারাপ আবহাওয়ার কারণে সেগুলো আশ্রয় নিয়েছে। তবে ম্যানিলার জোর দাবি এই জাহাজগুলো বেইজিংয়ের সামুদ্রিক মিলিশিয়া গ্রুপের। এগুলো প্রায়ই ওই এলাকায় গোপন সামরিক অভিযান চালিয়ে থাকে।

সম্প্রতি ফিলিপাইনের আকাশ ও সামুদ্রিক টহল দল দক্ষিণ চীন সমুদ্রের বিরোধপূর্ণ এলাকায় ৪৪টি চীনা পতাকাবাহী জাহাজ চিহ্নিত করেছে। দেশটির একটি সামরিক টাস্কফোর্স জানিয়েছে বর্তমানে ওই এলাকায় প্রায় ২১০টি জাহাজ জড়ো হয়েছে।