ভারতের পাঠানো রো‌হিঙ্গা কি‌শোরী‌কে গ্রহণ করেনি মিয়ানমার

ভারতের ফেরত পাঠানো ১৪ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা কিশোরীকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে মিয়ানমার। ভারতীয় পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ফেরত পাঠানোর জন্য ওই কিশোরীকে বৃহস্পতিবার ভারতের মণিপুর রাজ্যের একটি সীমান্ত শহরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু মিয়ানমারের সামরিক কর্তৃপক্ষ ওই রোহিঙ্গা কিশোরীকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভারতীয় দৈনিক পত্রিকা হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রতিবেশী দেশটির অভিবাসন বিভাগ সীমানা খুলতে অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, বর্তমান পরিস্থিতি কাউকে গ্রহণ করার জন্য উপযুক্ত নয়।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কিশোরীকে প্রতিবেশী রাজ্য আসামে ফেরত পাঠানো হবে। যেখানে সে এক বছরেরও বেশি সময় আশ্রয় নিয়েছিল।

খবরে দাবি করা হয়েছে, কিশোরীর পরিবার বাংলাদেশের কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে বাস করছে।

জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ‘গণহত্যার অভিপ্রায় নিয়ে’ পরিচালিত সামরিক অভিযানের পরে মিয়ানমার ছেড়ে পালাতে বাধ্য হওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা কয়েক বছর ধরে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

বাংলাদেশের তুলনায় ভারতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা অনেক কম। তারপরও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি অভিহিত করে তাদের আটক করা শুরু করেছে।

আনুষ্ঠানিকতা শেষে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য পুলিশ ওই কিশোরীকে মণিপুর সীমান্তে নিয়ে যায়। পুলিশ কর্মকর্তা বিএল মিনা রয়টার্সকে বলেছেন, তাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল।

আসামের শিলচরের অলাভজনক সংগঠন নিবেদিতা নারী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা দিবা রায়। তিনি এই কিশোরীর দেখাশোনা করে আসছিলেন। তিনি বলেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে মিয়ানমারে তার পরিবার নেই।

ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরসহ অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা ও গোষ্ঠীগুলো এই পদক্ষেপের জন্য নয়াদিল্লির সমালোচনা করেছে। ইউএনএইচসিআর বরাবরের মতো এমন প্রত্যাবাসনের বিরোধী।