যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনেই আফগানিস্তানে নিহত ১১ বেসামরিক

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আফগানিস্তান সরকার ও তালেবানদের মধ্যে তিন দিনের যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনেই রক্ত ঝরেছে। বৃহস্পতিবার পৃথক হামলায় ১১ বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং অপর ১৩ জন আহত হয়েছে। তালেবান এবং সরকারি বাহিনীর মধ্যে সরাসরি কোনও সংঘাত না হলেও রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে হতাহত বাড়া অব্যাহত রয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তানে মোতায়েন সব সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর হঠাৎ করেই দেশটিজুড়ে সহিংসতার মাত্রা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। তার মধ্যেই ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে তালেবান তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা দিলে আফগানিস্তানের সরকার তা মেনে নেয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়।

কান্দাহার প্রদেশ পুলিশের মুখপাত্র জামাল নাসের বারেকজাই জানান, পানজওয়াই জেলায় রাস্তায় পাশে পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে এক নারী ও এক শিশুসহ পাঁচ বেসামরিক নিহত হয়। এছাড়া একই প্রদেশের মাইওয়ান্দ জেলায় রাস্তায় পেতে রাখা আরেকটি বোমা একটি ট্যাক্সির নিচে বিস্ফোরিত হয়ে দু্ই শিশু নিহত ও  তিন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি আহত হয় বলেও জানান তিনি। 

উত্তরাঞ্চলীয় কুন্দুজ প্রদেশে এক বেসামরিক গাড়িতে লাগিয়ে দেওয়া বোমা বিস্ফোরণে দুই জন নিহত ও আরও ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রদেশটির পুলিশ প্রধান এনহামুদ্দিন রাহমানি। এছাড়া গজনী প্রদেশের রাস্তায় পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে দুই বেসামরিক নিহত হয় বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

কুন্দুজের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘বিস্ফোরণের অন্তত ৪০ মিনিট পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নিরাপত্তা বাহিনী। যদিও বিস্ফোরণস্থল থেকে কুন্দুজ পুলিশ সদরদফতর মাত্র একশ’ মিটার দূরে।’