এবার সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির নতুন অভিযোগ জান্তার

ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের আগ পর্যন্ত মিয়ানমারের ক্ষমতায় থাকা অং সান সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির নতুন অভিযোগ আনতে যাচ্ছে জান্তা সরকার। আনুষ্ঠানিকভাবে সু চির বিচার শুরুর আগে নতুন অভিযোগ আনার বিষয়টি সামনে এসেছে। বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এখবর জানিয়েছে।

আটকের পর সু চির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর হচ্ছে ব্রিটিশ আমলের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে দায়ের করা অভিযোগ। এছাড়া অবৈধভাবে ছয়টি রেডিও আমদানি ও ব্যবহার এবং করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার আইনজীবী মিন মিন সোয়ে জানিয়েছেন, ১৪ জুন (সোমবার) শুনানি শুরু হবে। এদিন বাদী ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।

রাষ্ট্রীয় পরিচালিত গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের এক প্রতিবেদনে এই নতুন অভিযোগ আনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডাউ খিন কাই ফাউন্ডেশনে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে পদ ব্যবহার করে দুর্নীতির দায়ে সু চি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতিদমন আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।

কমিশনের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ইয়াঙ্গুন অঞ্চলের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ৬ লাখ ডলার ও স্বর্ণ ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন সু চি। এছাড়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন হিসেবে বেশ কয়েকটি জমি ও সম্পত্তি লিজের ঘটনায় দুর্নীতি হয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, ভূমি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও দোষী বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন অং সান সু চি। তারপর থেকেই আটক আছেন তিনি। অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশটিতে নাগরিক অসহযোগ আন্দোলন ও বিক্ষোভ চলছে। এসব আন্দোলন দমন করতে গিয়ে প্রায় আটশ’ মানুষ হত্যা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। ২০২০ সালের নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনে সু চির দল বিলুপ্ত করার হুমকিও দিয়েছে জান্তা সরকার।