আফগানিস্তান থেকে সামরিক উপস্থিতি প্রত্যাহার নিয়ে যা বললো পেন্টাগন

মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর আফগানিস্তান ত্যাগের ডামাডোলে দেশটিতে আরও প্রভাব বেড়েছে তালেবানের। একের পর এক এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে দলটি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের গতি কমিয়ে দিতে পারে তারা। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মার্কিন বাহিনীর আফগানিস্তান ত্যাগের ডেডলাইন এখনও বহাল রয়েছে। তবে এর গতি পরিবর্তন হতে পারে।

এরইমধ্যে আফগানিস্তান থেকে অর্ধেক সেনা দেশে ফিরেছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। মার্কিন সামরিক উপস্থিতি কমে যাওয়ার বাস্তবতায় গত এক মাসে ৩০টিরও বেশি জেলার নিয়ন্ত্রণ নিতে সমর্থ হয় তালেবান। এসব এলাকায় থাকা সরকারি বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সামরিক সরঞ্জামের মালিকানা পায় তারা।

এদিকে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। রবিবার সংবাদমাধ্যম এপি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

হামিদ কারজাই বলেন, ‌‘চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই’ এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের দুই দশকের মিশন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।

তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সমঝোতা অনুযায়ী, এরইমধ্যে অর্ধেকেরও বেশি মার্কিন সেনা কাবুল ছেড়েছে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি শতভাগ সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন। তবে বিদেশি সেনারা চলে যাওয়ার পর আফগানিস্তানের পরিস্থিতি কী দাঁড়ায় তা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আফগান সংকটের কোনও ধরনের রাজনৈতিক সমাধান বা শান্তি চুক্তি না হলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন প্রতিবেশী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এমন পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যম এপি-কে এই সাক্ষাৎকার দেন হামিদ কারজাই। তিন বলেন, একটি দুর্যোগ পেছনে রেখে বিদেশি সেনারা আফগানিস্তান ছাড়ছে।

হামিদ কারজাই বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ২০ বছর আগে চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই এবং স্থিতিশীলতা ফেরানোর সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে এসেছিল। তবে উগ্রবাদ এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। সুতরাং তারা ব্যর্থ হয়েছে।’