মিয়ানমারের হেফাজতে নির্যাতিত হয়েছিলেন মার্কিন সাংবাদিক

মিয়ানমারে জান্তা সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে থাকার সময় নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন মার্কিন সাংবাদিক নাথান মং (৪৪)। তিন মাস আটক থাকার সময়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে ঘুষি, চড় মারা ছাড়াও লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে বলে জানান তিনি। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন এই সাংবাদিক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

অনলাইন নিউজ প্লাটফর্ম কামায়ুত মিডিয়ার এডিটর-ইন-চিফ নাথান মংকে গত ৯ মার্চ আটক করা হয়। ১৫ জুন মুক্তি পান তিনি। তিনি জানিয়েছেন এখনও আটক থাকা তার সহকর্মী হানথার নাইয়েনকে আরও নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তবে এসব নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেছেন জান্তা সরকারের মুখপাত্র।

নাথান মং বলেন, ‘প্রথম তিন-চার দিন ছিলো খুব খারাপ। বেশ কয়েকবার আমাকে ঘুষি এবং চড় মারা হয়েছে। আমি কী বললাম তা কোনও বিষয় না, আমাকে পিটিয়েই যেত।’ তিনি বলেন, ‘কানে চড় মারতে দুই হাতই ব্যবহার করা হয়েছে। দুই পাশের ঘাতে ঘুষি মারা হয়েছে। দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। পা কাঁপছিলো। নড়তে পারতাম না।’

মিয়ানমারে জন্ম নিলেও ১৯৯০ এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান নাথান মং। তিনি জানান তাকে কামায়ুত মিডিয়ার কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘হাতগুলো পিছনে নিয়ে হ্যান্ডকাফ লাগানো হয়, চোখ বেঁধে ফেলা হয়। তিন-চার দিন তারা আমাকে ঘুমাতে দেয়নি। টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। ঘুমানোর সময়ও দেয়নি।’

নাথান মং জানান, চার দিন পরে যখন তারা বুঝতে পারে যে তিনি মার্কিন নাগরিক তখন নির্যাতন কমে যায়। মুক্তির পর নাথান মংয়ের সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তারা সাক্ষাৎ করেছেন। আর তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের মার্কিন দূতাবাস।