২২ আফগান কমান্ডোকে হত্যা তালেবানের

বিদেশি বাহিনীর আফগানিস্তান ত্যাগের ডামাডোলে ফের অশান্ত হয়ে উঠছে দেশটি। ইতোমধ্যে দেশের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র কান্দাহারসহ বিভিন্ন সীমান্ত ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দলটি। ৯ জুলাই শুক্রবার তালেবান জানিয়েছে, আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ এলাকা এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। এরমধ্যেই সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, আফগান স্পেশাল ফোর্সের একটি ইউনিটের ২২ কমান্ডোকে হত্যা করেছে তালেবান। অথচ নিরস্ত্র এসব কমান্ডো আত্মসমর্পণ করতে চেয়েছিল।

গত ১৬ জুন আফগান-তুর্কমেনিস্তান সীমান্তে সংঘটিত এ ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও হাতে পেয়েছে সিএনএন। এসব ভিডিওর সত্যতা নিশ্চিত করতে সমর্থ হয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। কথা বলেছে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গেও।

তালেবান অবশ্য সিএনএন-কে বলেছে, এসব ভিডিও ভুয়া। সরকারি বাহিনীর সদস্যদের আত্মসমর্পণে নিরুৎসাহিত করতেই সরকারিভাবে এসব প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে।

ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, সারেন্ডার কমান্ডার, সারেন্ডার। একপর্যায়ে কয়েকজন পুরুষ নিরস্ত্র অবস্থায় একটি ভবন থেকে বেরিয়ে আসে। এ সময় গুলির শব্দ শোনা যায়। আল্লাহু আকবার ধ্বনির মধ্যেই অন্তত ডজনখানেক মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

৪৫ সেকেন্ডের এক ভিডিওতে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘তাদের গুলি করবেন না। আমি অনুরোধ করছি, তাদের গুলি করবেন না। আপনারা পশতুনরা কীভাবে আফগানদের হত্যা করেন?’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের দিন শহরটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে কমান্ডোরা গুলিবর্ষণ করে। একপর্যায়ে তালেবান যোদ্ধারা তাদের ঘিরে ফেলে।

এক ব্যক্তি জানান, কমান্ডোরা বেশ কয়েকটি ট্যাংক নিয়ে শহরে পৌঁছায়। কিন্তু দুই ঘণ্টার লড়াইয়ে তাদের গোলাবারুদ শেষ হয়ে যায়। এ সময় সরকারের কাছ থেকে বিমানযোগেও তারা কোনও সহায়তা পায়নি। একপর্যায়ে তালেবান তাদের ঘিরে ফেলে। মাঝ রাস্তায় নিয়ে কমান্ডো সবাইকে হত্যা করা হয়।

এদিকে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের এক অভিযানে তালেবানের গোয়েন্দা প্রধান নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি তালেবান।