শান্তিচুক্তির বিরোধিতাকারী তালেবান যোদ্ধাদের দলে ভেড়াচ্ছে আইএস!

জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইসলামিক স্টেটের ইরাক ও লেভান্ত-খোরাসান (আইএসআইএল-কে) ইউনিটের নেতারা মার্কিন ও আফগান-তালেবান শান্তিচুক্তির বিরোধিতাকারী তালেবান যোদ্ধাদের দলে নেওয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অ্যানালাইটিক্যাল সাপোর্ট অ্যান্ড স্যাংকশন্স মনিটরিং টিমের ২৮তম প্রতিবেদনে আফগানিস্তানের ভঙ্গুর পরিস্থিতি উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে, পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এখবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএস কাবুলের আশেপাশে নিজেদের অবস্থান সংহত করছে। এখান থেকেই তারা সংখ্যালঘু, অ্যাক্টিভিস্ট, সরকারিকর্মী এবং আফগান সেনা ও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, আইএস-এর ইউনিটটি এখন অন্য প্রদেশে চলে গেছে। তারা  নুরিস্তান, বাদঘিছ, সারি পুল, বাঘলান, বাডাখশান, কুন্দুজ ও কাবুলে স্লিপার সেল গড়ে তুলেছে। ২০২০ সালে কুনার ও নাঙ্গারহার প্রদেশে এলাকা, নেতৃত্ব, লোকবল ও আর্থিক ক্ষতির পরও তারা এসব সেল গড়ে তুলতে পেরেছে।

নিরাপত্তা পরিষদের এই টিমের প্রতিবেদনে গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, আইএস(এল-কে) পুনরায় সংগঠিত ও নতুন সমর্থকদের সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণে জোর দিয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, গোষ্ঠীটির নেতারা আশাবাদী আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যকার চুক্তির বিরোধিতাকারীদের দলে ভেড়ানোর বিষয়ে। এছাড়া তারা সিরিয়া, ইরাক ও অন্যান্য সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল থেকে যোদ্ধা সংগ্রহ করতে চাইছে।

ইসলামিক স্টেট ইরাক ও লেভান্ত খোরাসানের ৫০০ থেকে ১৫০০ যোদ্ধা রয়েছে রয়েছে জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্র জানিয়েছে। তবে আরেকটি দেশের মতে এই সংখ্যা ১০ হাজারের মতো। অপর একটি দেশ বলেছে, গোষ্ঠীটি আত্মগোপনে থেকে চোরাগুপ্তা হামলা চালাচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-সাদিক কার্যালয়ের প্রধান শেখ তামিমের সঙ্গে সহযোগিতা করছে শাহাব আল-মুহাজির। তামিমের এই কার্যালয়ের দায়িত্ব হলো মূল আইএসের সঙ্গে আইএস লেভান্ত-খোরাসানের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা।