করোনা টিকার মিশ্র ডোজ নিয়ে গবেষণায় সুখবর

প্রথমে অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং পরে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার ডোজ নিলে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের দেহে অ্যান্টিবডির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুটি ডোজের চেয়ে এই মিশ্রণে অ্যান্টিবডির মাত্রা ছয়গুণ বেশি। সোমবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

এই গবেষণায় ৪৯৯ স্বাস্থ্যকর্মী যুক্ত ছিলেন। এদের মধ্যে ১০০ জনকে মিশ্র ডোজ দেওয়া হয়। ২০০ জনকে দেওয়া হয় ফাইজার-বায়োএনটেকের দুটি ডোজ এবং অবশিষ্টদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজ।

অংশগ্রহণকারীদের সবার শরীরে ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। যা ভাইরাসকে কোষে প্রবেশ ও প্রতিলিপি করতে বাধা দেয়। মিশ্র ডোজের ফলাফলে ফাইজারের দুটি ডোজের প্রায় সমান ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

গত মাসে একটি ব্রিটিশ গবেষণাতেও প্রায় একই রকম ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে উঠে এসেছে, ফাইজারের পর অ্যাস্ট্রাজেনেকা ডোজের তুলনায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার পর ফাইজারের ডোজ নিলে সবচেয়ে ভালো টি-সেল প্রতিক্রিয়া ও বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।

এসব গবেষণার ফলাফল বিভিন্ন দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার পর ফাইজারের ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছে। কিছু কিছু দেশে বিরল রক্তে জমাট বাঁধার ঘটনায় প্রথম ডোজের পর অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা প্রয়োগ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আবার কিছু কিছু দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার রোগ নিয়ন্ত্র ও প্রতিরোধ সংস্থা জানায়, দক্ষিণ কোরীয় গবেষণায় বিভিন্ন উদ্বেগজনক করোনার ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে টিকার প্রতিরোধমূলক ক্রিয়া পর্যালোচনা করা হয়েছে।

গবেষণার তিনটি গ্রুপের কারোরই ব্রিটেনে শনাক্ত হওয়া আলফা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্রিয়া হ্রাস পায়নি। তবে বেটা, গামা, ও ডেল্টার বিরুদ্ধে কমেছে।