‘নারী’ বলে কাজে যোগ দেওয়া হলো না আফগান সাংবাদিক শবনমের

‘নারী’ হওয়ার কারণে কাজে যোগ দিতে পারেননি আফগানিস্তানের সাংবাদিক শবনম দওরান। তালেবান দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরের দিন কাজে যোগ দিলে জানিয়ে দেওয়া তাকে আর এখানে কাজ করতে হবে না। তিনি আরটিএ পশতু নামের আফগান সংবাদমাধ্যমে কাজ করতেন।

তালেবানের কাছে আফগান সরকারের পতনের পর সেখানকারী নারীদের নিয়ে উদ্বেগে ছিল বিশ্ব। কারণ তালেবানের প্রথম শাসনামলে নারীদের শিক্ষা ও কাজের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। কিন্তু এবার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে গোষ্ঠীটি সবাইকে অবাক করে জানিয়েছিল, নারীদের শিক্ষা ও কাজের অধিকার থাকবে ইসলামি শরিয়াহ আইন অনুসারে। তবে বিভিন্ন খবরে জানা যাচ্ছে, সেখানে আফগান নারীদের বিভিন্ন বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে।

সোমবার অফিসে গেলেই শবনমকে জানিয়ে দেওয়া হয় তাকে আর কাজে আসতে হবে না। তাকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘তুমি মেয়ে। নিজের বাড়িতে ফিরে যাও এবার।’ পরিচয়পত্র দেখিয়েও অফিসে প্রবেশ করতে পারেননি। 

একটি সংবাদমাধ্যমকে শবনম জানান, ‘আমি জানতে চেয়েছিলাম কেন আমি আর কাজ করতে পারব না? আমাকে বলা হয়েছিল আইন বদলে গেছে। আর আরটিএ-তে মেয়েদের কোনও জায়গা হবে না। যখন ওরা ঘোষণা করেছিল মেয়েদের কাজ করতে দেওয়া হবে, আমি উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম আনন্দে। কিন্তু পরদিনই বাস্তবটা বুঝতে পারলাম। আমি আমার পরিচয়পত্রও দেখালাম। কিন্তু ওরা বলে দিল বাড়ি যাও।’

এই মুহূর্তে তাই দিশেহারা শবনম ও তার সঙ্গী নারী সাংবাদিকরা। যদিও বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রে এখনও তেমন ফতোয়া জারি করা হয়নি। কিন্তু সরকারি সব সংবাদমাধ্যমের নারী সাংবাদিকদেরই বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অসহায় আর্তি জানিয়ে শবনম বলেন, ‘আমি আর এখানে কাজ করতে পারব না। এই মুহূর্তে আফগানিস্তানে থাকাই কঠিন হয়ে পড়ছে। কারও থেকে সমর্থন পেলে আমি দেশ ছাড়তে রাজি।’ সূত্র: এনডিটিভি