আমিরাতের বিমানবন্দরে যা বহন করতে পারবেন, যা পারবেন না

বিশ্বের সব দেশের বিমানবন্দরেই কিছু সাধারণ নিরাপত্তা থাকে। এই এয়ারপোর্ট সিকিউরিটির ওপরই নির্ভর করবে আপনি সেখানে আপনার লাগেজে কী বহন করতে পারবেন আর কি পারবেন না।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ইস্যুর আওতায় সেখানে বহনযোগ্য এবং বহনযোগ্য নয়, এমন সামগ্রীর একটি তালিকা তৈরি করেছে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।

আমিরাতের বিমানবন্দরে যাবতীয় ব্যাগের অন্তত একটি সমতল পৃষ্ঠ থাকতে হবে। চেক ইনের সময় গোলাকার এবং অপ্রচলিত আকৃতির পার্সেল গ্রহণ করা হবে না। ব্যাগে লম্বা চাবুক রাখা যাবে না।

আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য সর্বোচ্চ দুইটি লাগেজ ব্যবহারের অনুমোদন রয়েছে। তবে সেগুলোর মোট ওজন ৩২ কেজির বেশি হতে পারবে না। যদিও এটি এয়ারলাইন এবং ভাড়ার ধরন অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। ৯০ সেন্টিমিটার লম্বা, ৭৫ সেন্টিমিটার উঁচু এবং ৬০ সেন্টিমিটার চওড়া ব্যাগেজ বা যেগুলোর একক সমতল পৃষ্ঠ নেই সেগুলো বড় সাইজের ব্যাগেজ কাউন্টারে চেক ইন করতে হবে। কারণ স্ট্যান্ডার্ড সাইজের লাগেজ স্ক্যানিং বেল্টে সেগুলো গ্রহণ করা হবে না।

সাধারণত এয়ারলাইন্স দুইটি হ্যান্ড লাগেজ গ্রহণ করে। একটি কাঁধের ব্যাগ যেমন একটি পার্স, ল্যাপটপ ব্যাগ ও ব্যাকপ্যাক, পাশাপাশি একটি ছোট কেবিন ব্যাগ। কেবিন ব্যাগেজের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য হবে ৫৬ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ৪৫ সেন্টিমিটার এবং গভীরতা ২৫ সেন্টিমিটার। এগুলোর হ্যান্ডেল, সাইড পকেট ও চাকা থাকতে হবে।

আজকাল লিক্যুইডের ওপর নিষেধাজ্ঞা সর্বজনীন, যদিও এর প্রয়োগ দেশভেদে ভিন্ন হতে পারে। আমিরাতের বিমানবন্দরে যাবতীয় লিক্যুইড আপনার হ্যান্ড ব্যাগেজের মধ্যে একটি পরিষ্কার, পুনরায় সিলযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যাগের মধ্যে প্যাক করা উচিত। তবে কোনওটির ওজন ১০০ মিলিলিটারের বেশি হবে না। সব মিলিয়ে মোট ওজন এক লিটারের বেশি হতে পারবে না। তবে মেডিসিন, বাচ্চাদের দুধ এবং ভ্রমণকালের খাবার সামগ্রী এর আওতায় পড়বে না।

দুবাই কাস্টমসের নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক ভ্রমণকারী সর্বোচ্চ ৪ লিটার অ্যালকোহল বা এক কার্টন হপস নিয়ে যেতে পারবেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাত মানি লন্ডারিং এবং সন্দেহজনক আর্থিক কার্যকলাপের ওপর কড়া নজরদারি করে থাকে। ফলে কোনও যাত্রীর কাছে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ থাকলে সেটি কর্তৃপক্ষকে জানাতে হয়। স্থানীয় মুদ্রায় ৬০ হাজার দিরহামের বেশি নগদ অর্থ বা সমমূল্যের জুয়েলারি সামগ্রী থাকলে সেটি কর্তৃপক্ষকে জানানোর নিয়ম রয়েছে।

আগস্টে কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে জানিয়েছে, কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত পণ্যের মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত উপহার যার মূল্য সর্বোচ্চ তিন হাজার দিরহাম, ৪০০ সিগারেট, ৫০টি সিগার এবং ৫০০ গ্রাম তামাক। এর বেশি হলে কাস্টমস ডিউটি পরিশোধ করতে হবে। শুল্ক পরিশোধ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য উপহারগুলো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নয় বরং ব্যক্তিগত হতে হবে।

আমিরাত সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, ভ্রমণকারীরা অবাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার আনার সুযোগ পাবেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সর্বোচ্চ ২০ কেজি দই, ৫০ লিটার তেল (অলিভ অয়েলসহ), ১০ কেজি বিভিন্ন ধরণের সবজি ও ফল, ১০০ কেজি খেজুর, ১০ কেজি মিষ্টি ও রুটি, ১০ কেজি মাছ ও সামুদ্রিক খাবার, ৫০০ গ্রাম ক্যাভিয়ার, ১১ কেজি ডিম, ২০ কেজি মধু ও চিনিজাতীয় সামগ্রী, ৫০০ গ্রাম জাফরান, বাচ্চাদের খাবারের মতো ১০ কেজি বিশেষ ধরনের খাবার, ২০ লিটার পানীয় এবং পানিসহ সিরাপ, ২৫ কেজি টিনজাত খাবার ইত্যাদি।