কাবুলের নিয়ন্ত্রণ লাভের পর থেকে ব্যস্ত সময় কাটছে তালেবানের। একসময় দলীয় দায়িত্ব পালনে অভ্যস্ত ব্যক্তিদের ওপর ন্যস্ত হয়েছে প্রশাসনিক দায়িত্ব, দেশের নিরাপত্তা বজায় রাখার দায়িত্ব। পুরনো ভূমিকার সঙ্গে নতুন ভূমিকার সামঞ্জস্য করতে গিয়ে তাই হিমশিম খাচ্ছে অনেকে।
যেসব যোদ্ধা আত্মঘাতী বোমারুদের মতো প্রশিক্ষণ পেয়েছিল তারা এখন কাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। কমান্ডার আব্দুলরাহমান নিফিজ জানিয়েছেন, তার নিয়ন্ত্রণাধীন ২৫০ যোদ্ধা সংঘাতবিহীন পরিবেশের সঙ্গে অভ্যস্ত নয়।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে তিনি বলেন, ‘আমার সব লোকজন জিহাদ ও লড়াই পছন্দ করে। তাই কাবুলে এসে তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছিল না। এখানে আর কোনও লড়াই নেই।’
মার্কিন অভিযানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান শাসন করে তালেবান। এ সময় তারা দেশটিতে কঠোরভাবে শরিয়া আইন চালু করে।
২০২১ সালের ১৫ আগস্ট ফের কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিতে সমর্থ হয় দলটি। এর দুই সপ্তাহের মাথায় ৩০ আগস্ট তালেবানের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে আফগানিস্তান ছাড়ে মার্কিন বাহিনী।
২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি বাহিনী এবং পশ্চিমা সমর্থিত আফগান সরকারের বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গেছে তালেবান।
অনেক তালেবান সদস্য বিশ্বাস করে যে তারা এমন একটি যুদ্ধ করছিল যেটি তাদের পরকালে জান্নাতে নিয়ে যাবে।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে কমান্ডার আব্দুলরাহমান নিফিজ বলেন, ‘আমার অনেক যোদ্ধা চিন্তিত যে তারা যুদ্ধে শাহাদাতের সুযোগ মিস করেছে। আমি বলি, তাদের আরাম করা দরকার। এখনও শহীদ হওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু এই সমন্বয় করতে সময় লাগবে।’
সম্প্রতি আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে তালেবানবিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে নারীরা। তবে আব্দুলরাহমান নিফিজ জানালেন, তার যোদ্ধাদের বিক্ষোভ মোকাবিলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। আর তিনি এবং তার লোকজন এখন বল প্রয়োগের মাত্রা কমিয়ে এনে কাজ করছেন।