চাপ নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চায় তালেবান

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আঞ্চলিক দেশগুলোর কাছে সুসম্পর্কের বার্তা পাঠিয়েছে আফগানিস্তান। কাবুল কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। অন্যদের কাছ থেকেও একই আচরণ প্রত্যাশা করে। সোমবার এমন মন্তব্য করেছেন আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি।

এদিন দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের সেন্টার ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান স্টাডিজ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন ভারপ্রাপ্ত আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তান পুরো দুনিয়ার কাছে ইতিবাচক সম্পর্কের বার্তা পাঠিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। আশা করি অন্য দেশগুলোও আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।’

আফগানিস্তানের ভৌগোলিক অবস্থান উল্লেখ করে মুত্তাকি বলেন, তার দেশ এই অঞ্চলের একটি ক্রসরোড হিসেবে কাজ করে। ইসলামিক আমিরাত এই ক্ষমতাকে পুরোপুরি ব্যবহারের চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, ইসলামিক আমিরাত আফগানিস্তানের ক্ষমতাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে এবং একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের অংশীদার হতে বদ্ধপরিকর।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের সাম্প্রতিক বৈঠক নিয়েও কথা বলেন আমির খান মুত্তাকি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসলামি আমিরাতের মধ্যে স্বাক্ষরিত দোহা চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন দুই দেশের মধ্যে যেকোনও সমস্যা সমাধান করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চুক্তির বিষয়বস্তু মেনে চলারও আহ্বান জানান আফগান মন্ত্রী। তিনি বলেন, তালেবান আফগানিস্তানে এমন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা চায়, যেখানে সরকার মানুষের চাহিদার ব্যাপারে সজাগ থাকবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও আফগানিস্তান ও অন্যান্য দেশের মধ্যকার পার্থক্য বুঝতে হবে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।