‘দাবিটা সরল, তালেবানকে বসতে দেবেন না’

‘আমাদের দাবিটা সরল। তালেবান নয়, যে কিনা আফগানিস্তানের সবার অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এমন কাউকে জাতিসংঘের আসনে বসতে দিন।’ নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের সামনে সাংবাদিকদের এমনটাই বললেন আফগান নারীদের একটি প্রতিনিধিদল। তাদের মধ্যে এ কথা বলেছেন দেশটির সাবেক রাজনীতিক ও শান্তি বিষয়ক নেগোশিয়েটর ফৌজিয়া কুফি।

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) জাতিসংঘে আফগান নারী ও মেয়েশিশুদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিল ব্রিটেন, কাতার, কানাডা, ইউএন উইম্যান, জর্জটাউন ইন্সটিটিউট অব উইম্যান ও পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি। ওই অনুষ্ঠান শুরুর আগেই সাংবাদিকদের এসব বলেছেন ফৌজিয়া ও তার সঙ্গীরা।

ফৌজিয়া কুফি বলেন, ‘আমরা এ নিয়ে অনেক বলেছি। কিন্তু আমাদের কথায় কেউ কান দিচ্ছে না। সুতরাং ত্রাণ, অর্থ বা স্বীকৃতি এ সবের চাপ দিয়ে হলেও বিশ্বের উচিত— নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে ও প্রশাসনে অন্তর্ভুক্তিতে তাদের (তালেবান) বাধ্য করা।’

কুফির সঙ্গে ছিলেন সাবেক আফগান রাজনীতিক নাহিদ ফরিদ, সাবেক কূটনীতিক আসিলা ওয়ারদাক ও সাংবাদিক আনিসা শাহিদ।

নাহিদ ফরিদ বললেন, ‘আফগানিস্তান দখল করার সময় তারা বললো, নারীদের চাকরি করার অনুমতি তারা দেবে, স্কুলে যেতে দেবে। তারা কিন্তু প্রতিশ্রুতিটা রাখেনি।’

আফগানিস্তানের পক্ষ হয়ে জাতিসংঘে কাকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হবে তা নিয়ে জাতিসংঘ এখনও সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি। তালিবানরা চাচ্ছে দোহাভিত্তিক মুখপাত্র সুহেল শাহিনকে আসনে বসাতে। অন্যদিকে উৎখাত হওয়া সরকারের সাবেক জাতিসংঘ দূত গুলাম ইসাকযাই চাচ্ছেন তিনিই জাতিসংঘে দেশটির প্রতিনিধিত্ব করবেন। ধারণা করা হচ্ছে এ বছরের শেষের দিকে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে জাতিসংঘ।

সাবেক কূটনীতিক আসিলা ওয়ারদাক বিশ্ববাসীর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, নারী অধিকারের প্রশ্নে সবাই যেন তালেবানকে তাদের মুখের কথাকে কাজে পরিণত করতে বাধ্য করে।

 

সূত্র: রয়টার্স