আফগানিস্তানে ড্রোন হামলায় দায়ী কারও বিচার হবে না: যুক্তরাষ্ট্র

গত আগস্টে ড্রোন হামলায় ১০ আফগান নিহতদের ঘটনায় দায়ী কোনও মার্কিন সেনা বা কর্মকর্তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে না বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে একথা বলা হয়েছে।

তালেবান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কাবুল থেকে প্রত্যাহারের চূড়ান্ত দিনগুলোর সময় ওই হামলা চালানো হয়। এতে এক ত্রাণকর্মী এবং তার পরিবারের নয় সদস্য নিহত হয়। এদের মধ্যে সাত জনই শিশু।

আমেরিকান গোয়েন্দাদের বিশ্বাস ছিলো ত্রাণকর্মীর গাড়িটি জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস এর স্থানীয় শাখা আইএস-কে সংশ্লিষ্ট। তবে হামলার পর মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের জেনারেল কেন্নেথ ম্যাকেঞ্জি ২৯ আগস্টের ওই হামলাকে ‘দুঃখজনক ভুল’ আখ্যা দেন।

তবে গত মাসে উচ্চ পর্যায়ের একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শৃঙ্খলাজনিত ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এতে কোনও আইন ভঙ্গ হয়নি এবং অসদাচরণ বা অবহেলার কোনও প্রমাণ নেই।

বেশ কয়েকটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) ওই পর্যালোচনা প্রতিবেদনটি অনুমোদন করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।

কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে এক আত্মঘাতী হামলায় ১৭০ জনের বেশি বেসামরিক এবং ১৩ মার্কিন সেনা নিহতের কয়েক দিনের মাথায় ওই ড্রোন হামলা চালানো হয়।

মার্কিন বাহিনী ত্রাণকর্মী জামাইরি আহমাদির একটি গাড়ি টার্গেট করে হামলা চালায়। বিমানবন্দর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে নিজের বাড়ির ড্রাইভওয়ে থেকে বের হওয়ার সময় গাড়িটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। গাড়িতে হামলার পর সেখানে দ্বিতীয় আরেকবার বিস্ফোরণ হয়। তবে মার্কিন তদন্তে দেখা গেছে ড্রাইভওয়েতে থাকা একটি প্রপেন ট্যাংকের কারণেই দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে।