টোঙ্গায় সুনামি: বড় ক্ষয়ক্ষতির খবর, বিচ্ছিন্নতা নিয়ে উদ্বেগ

মারাত্মক সুনামির পর প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু যোগাযোগ সমস্যায় ক্ষতির পুরো চিত্র পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত কোনও আহত বা মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এক ব্রিটিশ নারীর নিখোঁজের খবর দিয়েছেন তার বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরা। ধারণা করা হচ্ছে তিনি স্রোতে ভেসে গেছেন।

টোঙ্গার রাজধানী নুকু’আলোফা থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরের হাঙ্গা টোঙ্গা-হাঙ্গা হা’পাই আগ্নেয়গিরিতে রবিবার অগ্নুৎপাত হয়। এই অগ্নুৎপাতের শব্দ বহু দূরের দেশ যুক্তরাষ্ট্রেও শোনা যায়। এর জেরে এক মিটারের বেশি উচ্চতার সুনামি আঘাত হানে টোঙ্গায়।

টোঙ্গায় ইন্টারনেট ও টেলিফোন যোগাযোগ চরম সীমিত হয়ে পড়েছে। উপকূলীয় এলাকায় এসব যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির সত্যিকার মাত্রা জানা কঠিন হয়ে পড়েছে।

টোঙ্গার নিউ জিল্যান্ড হাই কমিশনের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘টোঙ্গার পশ্চিম উপকূলের বিভিন্ন রিসোর্ট এবং নুকু’আলোফার সমুদ্রের দিকের অংশে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। পশ্চিম উপকূলে এখনও ছাইয়ের আস্তর রয়েছে।’

হাতা’আফু বিচ রিসোর্ট এক পোস্টে জানিরয়েছে তাদের ‘রিসোর্টটি সম্পূর্ণ ভেসে গেছে আর পুরো পশ্চিম উপকূলীয় এলাকা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।’ ওই পোস্টে বলা হয়েছে, সেখানে বেঁচে থাকা মানুষেরা ঝোঁপের মধ্যে দৌড়ে প্রাণ বাঁচাতে পেরেছেন।

নিউ জিল্যান্ডের একটি টেলিভিশনের প্যাসিফিক প্রতিনিধি বারবারা দ্রেভার ফেসবুকে লিখেছেন, অগ্নুৎপাতে গুরুত্বপূর্ণ একটি সাবমেরিন ক্যাবলের ক্ষতি হওয়ায় টোঙ্গায় আন্তর্জাতিক ফোনকল এবং ইন্টারনেট সচল হতে অন্তত দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

সূত্র: বিবিসি