পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীদের বিমানযাত্রায় তালেবানের নিষেধাজ্ঞা

আফগানিস্তানে পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীদের ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক বিমানযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালেবান। রবিবার দুটি সূত্রের বরাতে এখবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

আফগান মেয়েদের জন্য স্কুল চালু করার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এই পদক্ষেপের কথা সামনে আসলো। তালেবানের এই ইউ-টার্নে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা ও বিদেশি সরকারগুলো সমালোচনা করেছে। একারণে শুক্রবার তালেবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র।  

নিরাপত্তার কারণে পরিচয় প্রকাশ না করা সূত্র দুটি জানায়, শনিবার এই নিষেধাজ্ঞার কথা একটি চিঠিতে এয়ারলাইন কোম্পানিগুলোকে জানিয়েছে পূণ্যের প্রচার ও পাপ দমন মন্ত্রণালয়।

সূত্র জানায়, যেসব নারী রবি ও সোমবার একা ভ্রমণের জন্য বিমানের টিকিট কেটে ফেলেছেন তাদের বিমানযাত্রার অনুমোদন দেওয়া হবে। টিকিট থাকলেও শনিবার কাবুল বিমানবন্দর থেকে কয়েকজন নারীকে বোর্ডিং করতে দেওয়া হয়নি। তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

রয়টার্সের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়টির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য পায়নি বার্তা সংস্থাটি।

এর আগে তালেবান প্রশাসনের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, শিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে আগ্রহী নারীদের সঙ্গে একজন পুরুষ আত্মীয় থাকতে হবে।

তালেবান দাবি করে আসছে, ১৯৯৬-২০০১ সালের তুলনায় তারা অনেক বদলে গেছে। ওই সময় পুরুষ আত্মীয় ছাড়া নারীরা শিক্ষা, কাজ বা বাড়ির বাইরে যেতে পারতেন না। তারা বলছে, ইসলামি শরিয়াহ অনুসারে তারা নারীদের অধিকার দিচ্ছে।

তবে মেয়েদের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বন্ধ, নারীদের কাজে যোগদানে বিভিন্ন বিধিনিষেধ এবং দীর্ঘ বিমানযাত্রায় পুরুষ অভিভাবক বাধ্যতামূলক করায় আফগান নারী ও মানবাধিকার সংগঠন সমালোচনা করেছে।

নারীদের বিমানযাত্রায় কোনও ব্যতিক্রম থাকবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। যেমন- দেশে কোনও নারীর পুরুষ আত্মীয় না থাকলে এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা নারী বা বিদেশি নারীদের ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধ কার্যকর হবে কিনা, তা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।