এবার সড়কবাতি বন্ধ করতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা

বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করতে অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কা এবার সড়কবাতি জ্বালানো বন্ধ করতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার দেশটির এক মন্ত্রী এই তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে দ্বীপ দেশটি। বিদেশি মুদ্রার অভাবে গুরুত্বপূর্ণ পণ্য আমদানির দাম পরিশোধে ব্যর্থতায় জীবন রক্ষাকারী ওষুধ থেকে শুরু করে সিমেন্ট পর্যন্ত সব গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের ভয়াবহ সংকট তৈরি হয়েছে। মানুষদের দিনে জ্বালানির জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আর প্রতিদিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হচ্ছে। এর আগে দেশটিতে কাগজের অভাবে স্কুলের পরীক্ষা ও দৈনিক পত্রিকার ছাপা বন্ধ হওয়ার খবর জানা গেছে।

বিদ্যুৎমন্ত্রী পবিত্র বানিয়ারাচ্চি সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যুৎ সঞ্চয় করতে আমরা দেশজুড়ে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি সড়কবাতি না জ্বালানোর জন্য।

শ্রীলঙ্কার পরিসংখ্যান বিভাগ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এক আগের তুলনায় মার্চ মাসে খুচরো মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১৮.৭ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৩০.২ শতাংশ ছুঁয়েছে।

ফার্স্ট ক্যাপিটাল রিসার্চের গবেষণা প্রধান দিমান্থা ম্যাথিউ বলেন, গত কয়েক দশকের মধ্যে মূল্যস্ফীতির সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে।

বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, ভারতের কাছ থেকে ক্রেডিট লাইনের আওতায় শনিবার ডিজেলের একটি চালান পাওয়ার কথা রয়েছে। তা এসে পৌঁছালে আমরা কয়েক ঘণ্টা লোডশেডিং কমাতে পারব। কিন্তু বৃষ্টি শুরু না হলে, সম্ভবত মে মাসের কোনও সময় পর্যন্ত লোডশেডিং চলবে।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া আমাদের করার কিছু নেই।

তিনি জানান, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জলাধারে রেকর্ড মাত্রায় পানি কমে গেছে। এমন সময়ে পানির স্তর নেমেছে যখন গরম ও শুকনো মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ।