শাহবাজ শরিফের মন্ত্রিসভায় যারা থাকতে পারেন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ। সোমবার পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোটে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নতুন মন্ত্রিসভায় সব বিরোধী দলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাকিস্তানের দৈনিক ডেইলি জংয়ের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

নতুন মন্ত্রিসভায় পিএমএল-এন-এর সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে। তাদের ১২ জন মন্ত্রী থাকবে। পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) থাকবে সাত জন এবং জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম (জেইউআই-এফ) পাবে চার মন্ত্রী। এছাড়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) দুটি এবং আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি (এএনপি), জমহুরি ওয়াতান পার্টি ও বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি একটি করে মন্ত্রী পাবেন।

পিএমএল-এন-এর খাজা আসিফ, সাদ রফিক, খুররাম দস্তগীর, আহসান ইকবাল, মরিয়ম আওরঙ্গজেব, সায়িস্তা পারভেজ মালিক, রানা সানাউল্লাহ এবং মুর্তজা জাভেদ মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহসীন দাওয়ার এবং আসলাম ভুটানি ও পিএমএল-কিউ-এর তারিক বশির চেমাও মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন।

পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের নেতা হিসেবে বিবেচনায় রয়েছেন আজম নাজির তারারের নাম। পিপিপি দলের তরফ থেকে শেরি রেহমান কিংবা মুস্তফা নওয়াজ খোকারের নাম মন্ত্রিসভায় দেওয়া হতে পারে।

বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি পরবর্তী পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পারেন। এছাড়া এই পদে শাজিয়া ম্যারির নামও বিবেচনায় রয়েছে।

গত সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে পিপিপি চেয়ারম্যান বলেন, নতুন সরকারের ভূমিকার বিষয়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে।

জেইউআই-এফ দলের পক্ষ থেকে বেলুচিস্তান কিংবা খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশের গভর্নর নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া পাঞ্জাবের গভর্নর হবেন পিপিপি থেকে এবং সিন্ধ প্রদেশের গভর্নর হবেন এমকিউএম-পি থেকে।