শ্রীলঙ্কায় দুই বেলার খাবারের দাবিতে বিক্ষোভে বাড়ছে সমর্থন

শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। দুই বেলা খাবারের দাবিতে সরকারবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন বেকারসহ অসংখ্য মানুষ। বুধবার ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে এমন কথা তুলে ধরেছে।

চলমান সংকটে কাজ হারিয়ে বেকার হওয়া এবং কয়েকশ’ দিনমজুর কলম্বোতে খাবার নেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়েছেন। এখানে কলম্বোভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান খাবার সরবরাহ করছে।

সমাজকর্মী আকুশলা ফার্নান্দো বলেন, ৯ এপ্রিল থেকে আমরা খাবার বিতরণ করছি। আমরা চাই প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করুন। তিনি জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে পারছেন না এবং দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হচ্ছেন।

তিনি জানান, তাদের ট্রাস্ট বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে অর্থ, পণ্য ও খাদ্য গ্রহণ করছে। এখন পর্যন্ত আমরা হাজারো মানুষকে খাবার বিতরণ করেছি।

আকুশলা বলেন, কাজ করছেন এবং বেকার থাকা অনেক মানুষ এখানে আসছেন। চলমান বিক্ষোভের কারণে কাজ হারানো মানুষেরাও আসেন। তারা বলছেন, কাজ চলে যাওয়া নিয়ে তারা ভাবছেন না, তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিক্ষোভ করছেন।

শ্রীলঙ্কা বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এত শোচনীয় যে তা অতীতে দেখা যায়নি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশজুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ।

ট্রাস্ট কর্তৃক সরবরাহ করা খাবার বিতরণে জড়িত আরেক ব্যক্তি শেরভিন রানাতুঙ্গা জানান, শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে মানুষ আসছেন। বাস, ট্যাক্সি ও ট্রেনে চড়ে অনেকে আসছেন। আমরা সবাইকে খাবার দিচ্ছি।

তিনি বলেন, ধনী ও গরিব বৈষম্য না করে আমরা সবাইকে খাবার দিচ্ছি।

দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে জরুরি খাদ্য ও বিদ্যুৎ সংকট প্রকট আকার ধারন করেছে। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে দেশটির বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভও কমে গেছে। বিশেষ করে করোনা মহামারিতে পর্যটন খাতে ধস নামায় বিদেশি মুদ্রা আয় হয়নি। ফলে দেশটি পর্যাপ্ত জ্বালানি ও গ্যাস কিনতে পারছে না অর্থের অভাবে। মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাচ্ছে না।

সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরেছেন। তিনি আহ্বান জানিয়েছেন জনগণকে আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত হতে।

সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সহিংসত সংঘর্ষের পর গত সপ্তাহে পদত্যাগ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।

সূত্র: এনডিটিভি