বাংলাদেশের এক শ্রমিক সিন্ডিকেটকে আটক করেছে মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীদের বৈধতা দেওয়ার নামে ভিসা জালিয়াতি এবং অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনে জড়িত থাকার দায়ে বাংলাদেশিসহ ৬ জনকে আটক করা  হয়েছে। আটকৃতদের মধ্যে ৪ জনই বাংলাদেশি। তারা এক বাংলাদেশির নেতৃত্বে ভিসা জালিয়াতি করে আসছিল বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ। 

সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকায় অভিযান চালিয়ে গত ৮ জুন এক নারীসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। আটকৃতদের নাম প্রকাশ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারা পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬-এর অধীনে অপরাধ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি খায়রুল দাজাইমি দাউদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সিন্ডিকেটটি ২০১৪ সাল থেকে এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত। অবৈধভাবে উপায়ে বিদেশি কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছে বলে ধারণা করছে অভিবাসন বিভাগ।

তদন্তে জানা গেছে, সিন্ডিকেট প্রতি অভিবাসীকর্মীকে ৩ হাজার ৫০০ রিঙ্গিত থেকে ৪ হাজার ২০০ রিঙ্গিতের মধ্যে এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টরের জন্য একটি টেম্পোরারি ওয়ার্কিং ভিজিট পাস (পিএলকেএস) পাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল।

দাতুক সেরি খায়রুল দাজাইমি বলেন, আমরা জনসাধারণকে বিশেষ করে নিয়োগকর্তা ও বিদেশিকর্মীদের পরামর্শ দেই যে কোনও তৃতীয় পক্ষ ছাড়া শুধুমাত্র অভিবাসন বিভাগের সঙ্গে সরাসরি লেনদেন করতে। 

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের দেশে ফেরত পাঠানো এবং ভিজিটর ভিসা বাতিল করে ইতিবাচক ব্যবস্থা নেবে অভিবাসন বিভাগ’।

অভিযানে মোট ৪৮৮টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ৪৫৭, ইন্দোনেশিয়ার ৮, ভারতের ৮, পাকিস্তানের ৮, মিয়ানমারে ৬ এবং নেপালের ১টি পাসপোর্ট রয়েছে। এছাড়া জব্দ করা হয়েছে ১২টি কোম্পানির সিল, দুটি কম্পিউটারের সেট এবং নগদ ৩৮ হাজার ৩০৮ রিঙ্গিত।

সূত্র: ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।