সরে যাচ্ছেন দুয়ার্তে, শপথ নেবেন ফিলিপাইনের নতুন প্রেসিডেন্ট

ফিলিপাইনের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। বৃহস্পতিবার শপথ নিয়ে তিনি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তের জায়গা নেবেন। কঠোর নজরদারির মধ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি লেনি রবরেদোকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন বংবং নামে পরিচিত মার্কোস জুনিয়র।

বংবংয়ের বিজয়ে মার্কোস পরিবারের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার ফিরে এসেছে। ১৯৮৬ সালে এক জনপ্রিয় অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় মার্কোস পরিবার। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তের মেয়ে সারা দুয়ার্তে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ম্যানিলার ন্যাশনাল মিউজিয়ামে শপথ নেবেন মার্কোস জুনিয়র। দেশি বিদেশি শত শত প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন অনুষ্ঠানে। এই আয়োজন ঘিরে ম্যানিলায় মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর ১৫ হাজার সদস্য।

মাত্র কয়েক দিন আগেই ম্যানিলার সর্বোচ্চ আদালতের এক রায়ে বলা হয়েছে, কর ফাঁকির মামলায় দণ্ড পেলেও নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ গ্রহণের অযোগ্য বিবেচিত হবেন না। এরপরই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শপথ অনুষ্ঠান।

মার্কোস জুনিয়রের নির্বাচনে জয় ছিল তাদের রাজনৈতিক গৌরব পুনরুদ্ধার করার জন্য মার্কোসদের এক দশক দীর্ঘ সংগ্রামের চূড়ান্ত পরিণতি। তার বাবা ফার্দিনান্দ ১৯৬৫ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ফিলিপাইনের নেতা ছিলেন। সামরিক শাসন জারি, মানবাধিকার হরণ, দুর্নীতি ও দারিদ্র্য ছিল তার শাসনামলের উল্লেখযোগ্য ঘটনা।

সেই শাসনের অবসান ঘটে ১৯৮৬ সালে। ওই সময়ে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে আর মার্কোস পরিবার দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যায়। তখন বংবংয়ের বয়স ছিল মাত্র ২৮ বছর।

১৯৯১ সালে ফিলিপাইনে ফিরে রাজনীতিতে ফের সক্রিয় হন বংবং। তারপর থেকেই বাবার শাসনামলকে ফিলিপাইনের উন্নতি ও সমৃদ্ধির ‘স্বর্ণ যুগ’ হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা শুরু করেন।

সূত্র: বিবিসি