তীব্র বর্ষায় সিউলে ৮ জনের মৃত্যু

তীব্র মৌসুমী বর্ষার কবলে পড়ে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের একটি অংশে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত আট জনের মৃত্যু এবং আরও ১৪ জন আহত হয়েছে। সোমবার রাতে ভারি বর্ষণে সড়ক, মেট্রো স্টেশন প্লাবিত হয়ে পড়ে। সিউলসহ আশেপাশের প্রদেশগুলোতে দেখা দেয় লোডশেডিং। কোরিয়ার আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, কয়েকটি এলাকায় ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়া কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী কয়েক দিন ধরে তীব্র বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

ছবিতে দেখা গেছে, মেট্রো স্টেশনের সিঁড়ি ডুবে গেছে, পার্কিংয়ে রাখা গাড়ির জানালা পর্যন্ত ডোবা আর মানুষ রাস্তায় হাঁটু পানির মধ্য দিয়ে চলাফেরা করছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মারা যাওয়া তিন জন বেজমেন্টে বানানো অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করতেন। উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সড়কে কোমর সমান পানি জমে যাওয়ায় ওই অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করতে পারেননি।

মারা যাওয়া অন্যদের মধ্যে একজন বিদ্যুতায়িত হয়েছেন, একজনকে বাসস্টপের ধ্বংসাবশেষের নিচে পাওয়া গেছে এবং অপর একজন ভূমিধসে মারা গেছেন। এছাড়া অন্তত ১৪ জন আহত এবং আরও ছয় জন নিখোঁজ রয়েছেন।

ইয়োনহাপ বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, সিউলের অংশ বিশেষ, পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দর শহর ইনচিওন এবং গিয়োনগি প্রদেশে সোমবার রাতে প্রতি ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া সিউলের ডোংজাক জেলায় প্রতিঘণ্টায় ১৪১.৫ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৯৪২ সালের পর সর্বোচ্চ।

সিউলে অন্তত ১৬৩ জন গৃহহীন হয়ে পড়েছেন এবং স্কুল ও সরকারি স্থাপনায় আশ্রয় নিয়েছেন। বৃষ্টিপাতে গণপরিবহন আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া লাইন বন্যা কবলিত হয়ে পড়ায় সিউল ও ইনচিওনের মধ্যকার ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়োন সুক-ইয়োল সরকারি কর্মকর্তাদের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার এবং কর্মীদের মঙ্গলবার সুবিধামতো সময়ে অফিসে পৌঁছানোর সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

সূত্র: বিবিসি