নিহতের সংখ্যা কমালো ইন্দোনেশিয়া

ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশের একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও পদদলিত হয়ে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে নিহতের সংখ্যায় একটি সংশোধনী দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রথমে এ ঘটনায় ১৭৪ জন নিহতের কথা বলা হলেও পরে এটি সংশোধন করে ১২৫ জন নিহতের কথা বলা হয়েছে। রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

পূর্ব জাভার ভাইস গভর্নর এমিল দারদাক বলেন, মৃতের সংখ্যা ১২৫-এ নামিয়ে আনা হয়েছে। কিছু নাম দুই বার রেকর্ড করার ফলে সংখ্যাগত এই বিভ্রাট ঘটেছিল বলে জানান তিনি।

শনিবার রাতে পূর্বাঞ্চলীয় শহর মালং-এর ট্র্যাজেডিটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক স্পোর্টিং স্টেডিয়াম বিপর্যয়ের একটি। পূর্ব জাভা প্রদেশের পুলিশ জানিয়েছে, পার্সেবায়া সুরাবায়ার কাছে ৩-২ গোলে আরেমা এফসির পরাজয়কে কেন্দ্র করে সহিংসতার সূত্রপাত ঘটে। খেলায় হারের পর আরেমা এফসি হাজার হাজার ভক্ত কাঞ্জুরুহান স্টেডিয়ামের পিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অফিসাররা টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে ‘দাঙ্গা’ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ সময় আতঙ্কিত ভক্তরা একটি বহির্গমন গেটের দিকে ছুটে যাওয়ার সময় পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বিশৃঙ্খলায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে এবং পদদলিত হয়ে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে স্টেডিয়ামে দায়িত্বরত দুই পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন। স্থানীয় হাসপাতালের একজন পরিচালক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এদিনের সহিংসতায় নিহতদের মধ্যে পাঁচ বছরের একটি শিশুও রয়েছে।

স্থানীয় নিউজ চ্যানেলের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, পার্সেবায়া সুরাবায়ার কাছে হেরে যাওয়ার পর আরেমা এফসির ভক্তরা স্টেডিয়ামের দিকে ছুটে যাচ্ছে।

ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ লীগের সব ধরনের ম্যাচ স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। নজিরবিহীন ঘটনার প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, মাঠে দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়। অনেকে সমর্থক পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর হামলা শুরু করে। শুধু তাই নয়, তারা গাড়ি ও স্টেডিয়ামে তাণ্ডব চালায়। তবে সবাই তাণ্ডবের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। ইতোমধ্যেই মর্মান্তিক এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএসএসআই)।