শনিবার তিনি বলেছিলেন, ভ্যালেন্টাইনস ডে’র সঙ্গে আমাদের সংস্কৃতির কোনও সম্পর্ক নাই, তাই এই দিবস পরিহার করা উচিত।
রবিবার ইসলামাবাদের একটি ফুলের মার্কেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট বলেন, রবিবার ফুলের দোকান খোলা রয়েছে দেখে আমি বিস্মিত। আমি নিশ্চিত ছিলাম ফুলের দোকান বন্ধ থাকবে। এ জন্যই আমি বলেছিলাম, ভ্যালেন্টাইনস ডে পালন করা উচিত নয়।
মামনুন হোসেন আরও বলেন, গতকাল স্ত্রীর জন্য ফুল আনতে সেক্রেটারিকে বলতে আমি ভুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু আজ আমি নিজেই ফুল কিনতে পারব। তাই আমি আগের বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।
হাতে একগাদা তাজা লাল গোলাপ নিয়ে প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, শুধু তাই নয়, ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে যাতে করে কোনও পণ্যের দাম বাড়ানো না হয় সেজন্য একটি আদেশ দিয়েছি। কিছু লোক ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে চকলেট, সুস্বাদু খাবারের দাম দ্বিগুণ করে মুনাফা করে... আমাকেই দেখুন, এই ফুলের জন্য আমাকে ২ হাজার রুপি দিতে হয়েছে! এটা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সাংবাদিকরা আরও জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমি জানি এটা আমার আগের বক্তব্যের বিপরীত। কিন্তু একজন নেতা হিসেবে যেকোনও সময় অবস্থান পরিবর্তনের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুবিধা নেওয়া উচিত।
কয়েক সপ্তাহ আগে, আমার স্ত্রী বলেছিলেন ভ্যালেন্টাইনস ডে একটি ছাঁইপাশ দিবস। কিন্তু শনিবার স্ত্রী আমাকে ইঙ্গিত দেন, তিনি একটি উপহার প্রত্যাশা করছেন। আমি ঝামেলায় পড়ে গিয়েছিলাম! আমার কাছে মনে হয়েছিল সবচেয়ে ভালো হয় ভ্যালেন্টাইনস ডে পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা এবং নীতিবাক্য তুলে ধরা। এতে আমি সবদিক থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারব।
রবিবার কি কি উপহার দেওয়া যেতে পারে- এরকম একটি ইন্সটাগ্রাম পোস্ট দেখে প্রেসিডেন্ট চিৎকার করে বলেন, আমার সামনে থেকে দূর হও...। আমার স্ত্রী এই চপ্পল জোড়া পছন্দ করবেন। আমাকে সেন্টাউরাসে নিয়ে চল।
গাড়িতে ওঠতে ওঠতে প্রেসিডেন্ট জানান, ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে করাচিতে জারি করা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেবেন। তিনি বলেন, আমি এই পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছিলাম কারণ, রোমান্টিক সন্ধ্যায় নির্দিষ্ট মানুষকে নিয়ে বিচে বেড়ানোটা কায়েম আলি শাহ পছন্দ করেন না।
(লেখাটি পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন-এ স্যাটায়ার হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। সত্য ঘটনা বলে গ্রহণ করবেন না।)
/এএ / এএইচ/