বাঞ্জি জাম্পের সময় দড়ি ছিঁড়ে যাওয়ার পরও বেঁচে গেছেন তিনি

রোমাঞ্চ প্রিয় কিছু মানুষের কাছে বাঞ্জি জাম্পকে মৃত্যুর কাছাকাছি অভিজ্ঞতার মতো। কিন্তু খুব কম মানুষ-ই এমন অভিজ্ঞতা নিতে গিয়ে প্রকৃত মৃত্যুর কাছাকাছি গিয়েছেন। সম্প্রতি থাইল্যান্ডের একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, বাঞ্জি জাম্পের সময় এক পর্যটকের দড়ি ছিঁড়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত বেঁচে গেছেন।

ভিডিও ফুটেজে থাকা পর্যটক হংকংয়ের বাসিন্দা। ভাইরাল হওয়া ভিডিও ৩৯ বছর বয়সী পর্যটক তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন।

অনলাইনে হয়রানি এড়াতে শুধু প্রথম নাম মাইক ব্যবহার করে ওই পর্যটক বলেছেন, জানুয়ারিতে ছুটি কাটাতে পাতায়া শহরের একটি ১০ তলা উঁচু পডিয়াম থেকে একটি সোয়ান ডাইভ দিয়েছিলেন।

মাইকের কপাল ভালো। যেখান থেকে তিনি লাফ দিয়েছিলেন তার নিচে ছিল পানি। বাঞ্জি জাম্পের সময় যখন মাঝামাঝি অবস্থানে ছিলেন তখন তার গায়ে বেঁধে দেওয়া দড়িটি ছিঁড়ে যায়। তিনি পড়েন পানিতে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে মাইক বলেন, আমার শরীরের বাম পাশ পানিতে আঘাত করে। তাই শরীরের এই অংশে ব্যথা পেয়েছি বেশি। পরে মনে হয়েছে আমাকে কেউ খুব জোরে মারধর করেছে।

মাইকের সঙ্গে আসা বন্ধুরা চাংথাই থাপপ্রায়া সাফারি ও অ্যাডভেঞ্চার পার্ক থেকে তার দড়ি ছিঁড়ে পড়ে যাওয়া দেখেছেন।

তিনি বলেছেন, তিনি মূলত পার্কে গিয়েছিলেন ফায়ারিং রেঞ্জ পরীক্ষা করার জন্য। কিন্তু তার বন্ধুরা চ্যালেঞ্জ করায় তিনি বাঞ্জি জাম্প দেওয়ার মতো সাহসী সিদ্ধান্ত নেন।

বাঞ্জি জাম্পের সময় দড়ি ছিঁড়ে পানিতে পড়েন মাইক নামের পর্যটক। ছবি: সিএনএন

তার কথায়, ভবনটি সত্যিকার অর্থে অনেক উঁচুতে ছিল তাই আমি চোখ বন্ধ করে ফেলি। যখন দড়িটে টান পড়ার পর আবার উপরে উঠতে শুরু করব তখন আমার চোখ খোলার পরিকল্পনা ছিল। যখন বুঝতে পারি যে আমার দড়ি ছিঁড়ে গেছে, তখন চোখ খুলে দেখলাম আমি পানির মধ্যে। দুই পায়ের নিচের দিকে দড়ি বাঁধা থাকারও পর পানিতে ভেসে উঠতে সক্ষম হই। সাঁতার না জানলে বড় সমস্যায় পড়তে হত।

মাইক বলেছেন, পার্ক কর্তৃপক্ষ তার জাম্পের জন্য পরিশোধিত অর্থ ফেরত দিয়েছে। এছাড়া এক্স-রে ও আলট্রাসাউন্ড স্ক্যানের জন্য টাকা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

পার্কের প্রতিষ্ঠাতা নিথিত ইন্টিম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, বাঞ্জি জাম্পের সময় দড়ি ছিঁড়ে যাওয়ার ঘটনা তার পার্কে এই প্রথম। মাইকের চিকিৎসার ব্যয় করতেও রাজি আছেন তারা।