দক্ষিণ কোরিয়ায় একদিনে ৩ হাজার জুটির গণবিয়ে

দক্ষিণ কোরিয়ায় গণবিয়ের ছবিদক্ষিণ কোরিয়ায় একদিনে ৩ হাজার জুটির গণবিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার স্থানীয় একটি স্টেডিয়ামে ইউনিফিকেশন চার্চের উদ্যোগে এ গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। চার্চের প্রতিষ্ঠাতা সান মিউং মুন’র স্ত্রী এতে সভাপতিত্ব করেন।
একই ধরনের বিয়ের পোশাক পরে ৬২টি দেশের তিন হাজার জুটি এই গণবিয়েতে অংশ নেন। এদের মধ্যে ১ হাজার জুটির প্রথমবারের মতো বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া ২ হাজার জুটি পূর্বে বিয়ে করেছিলেন। তিন ঘণ্টা ধরে এই গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে স্টেডিয়ামে কয়েক হাজার দর্শক উপস্থিত হন।
গণবিয়েতে বর ব্ল্যাক ম্যাথিউস ও কনে কিয়েভা পেস জানান, হাই স্কুলে পড়ার সময় তাদের মধ্যে প্রথম পরিচয় হয়। এরপর থেকে আট বছর ধরে তারা একসঙ্গে রয়েছেন। তাদের উভয়ের বয়স ২৪ বছর। তারা উত্তর ক্যারোলাইনায় বাস করেন। এখানকার সবাই একটি পরিবারের সদস্যদের মতো। নবদম্পতি বলেন, বিয়ের পর তাদের দক্ষিণাঞ্চলীয় জুজু দ্বীপে হানিমুন করার ইচ্ছা রয়েছে।
মুনের স্ত্রী হান হাক-জা ২০২০ সালের মধ্যে ‘পৃথিবীতে স্বর্গ প্রতিষ্ঠা’ সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর জন্য অনুসারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় গণবিয়ে

গির্জার প্রতিষ্ঠাতা মুন ২০১২ সালে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। মুন তার অনুসারীদের কাছে শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি ছিলেন। কিন্তু সমালোচকদের অভিযোগ, তিনি চার্চের সদস্যদের মগজ ধোলাই করতেন। তারা মুনকে ভণ্ড হিসেবে অভিহিত করে। মুন তার কর্মকাণ্ডের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে কারাভোগ করেন। মুন মিশ্র সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে বিয়েকে প্রাধান্য দিতেন। এই দম্পতিরা প্রায়ই অভিন্ন ভাষায় কথা বলতেন না।

১৯৬০-এর দশকের গোড়ার দিকে চার্চটিতে গণবিয়ে শুরু হয়। প্রথম প্রথম মাত্র কয়েকটি জুটি গণবিয়েতে অংশ নেয়। ধীরে ধীরে গণবিয়েতে অংশ গ্রহণকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ১৯৯৭ সালে ওয়াশিংটনে ৩০ হাজার জুটি গণবিয়েতে অংশ নেয়। এর দুই বছর পর সিউলের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে প্রায় ২১ হাজার লোক এই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।সূত্র: দ্য জাপান টাইমস।

/এএ/