থাই সামরিক সরকার বেশি দিন স্থায়ী হবে না: থাকসিন

প্রায় দুই বছর পর নীরবতা ভাঙলেন থাইল্যান্ডের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া থাকসিন দাবি করেছেন, থাইল্যান্ডের সামরিক সরকার বেশি দিন স্থায়ী হবে না। এছাড়া বর্তমান সরকারের কঠোর সমালোচনা করে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে থাকসিন সামরিক সরকার ২০১৭ সালে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দিয়ে সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগকে দেশকে ‘পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়া’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, আমি দেখছি দেশ এগিয়ে যাওয়ার বদলে পেছনে যাচ্ছে। নতুন সংবিধানের মাধ্যমে দেশকে খাদের কিনারায় নিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। এই সংবিধান হবে থাইল্যান্ডের সবচেয়ে খারাপ সংবিধান। এ কারণে আমরা উদ্বিগ্ন।  

থাকসিন আরও বলেন,  যেভাবে তারা দেশ পরিচালনা করছে তাতে আমি মনে করি এই পরিস্থিতি তাদেরকে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে দেবে না। যে শাসনামলে জনগণকে উপেক্ষা করা হয়, তা বেশিদিন স্থায়ী হয় না।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনী প্রকাশ্যে বার বার ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া ও দেশকে এগিয়ে নেওয়ার কথা বলে। কিন্তু দেড় বছর পার হয়ে গেলেও ক্ষমতা হস্তান্তরের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

থাকসিন সিনাওয়াত্রা ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে স্বেচ্ছা নির্বাসনে আছেন। তার বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রা পরে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হন। ২০১৪ সালে ইংলাককেও ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী। সেই থেকে থাইল্যান্ডের রাজনীতি নিয়ে এক প্রকার চুপচাপ ছিলেন থাকসিন।  সূত্র: আল-জাজিরা।

/এএ/