ইমরান খানের আপিল শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশির বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস (সাইফার) ও তোশাখানা দুর্নীতি মামলার আপিল শুনানি আগামীকাল সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি)। এই শুনানির জন্য শনিবার এক বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)। রবিবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে।

প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক ও বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেবের সমন্বয়ে গঠিত আইএইচসি ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার আপিলের শুনানি করবেন।

রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস (সাইফার) মামলায় ইমরান ও কুরেশিকে দোষী সাব্যস্ত করে, ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে এই সাজাকে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেছেন তারা।

আর তোশাখানা দুর্নীতি মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছেন ইমরান খান ও বুশরা বিবি। এই মামলায় তাদের প্রত্যেককে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১৫৪ কোটি পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করা হয়।

সাইফার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর করা আপিলে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ১৬ আগস্ট ইমরান খানের গ্রেফতার ও রিমান্ড শুনানি সবচেয়ে আপত্তিকর ও গোপনীয় পদ্ধতিতে করা হয়েছিল। কোনো ধরনের যৌক্তিক কারণ ছাড়াই ইমরান খানের বিরুদ্ধে তাড়াহুড়ো করে রায় দেওয়া হয়েছিল।

আপিলে বলা হয়, ইমরানের বিরুদ্ধে ট্রায়াল কোর্টে উপস্থাপন করা সম্পূর্ণ রেকর্ড প্রসিকিউশন শেয়ার করেনি। বরং তাড়াহুড়ো করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিযুক্ত করেছেন বিচারক।

আপিলে ইমরান খান দাবি করেন, তাদের কৌঁসুলিরা আদালতকে পূর্ণ সহায়তা দিলেও ন্যায়বিচার পাওয়ার ব্যাপারে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেই পরিচালিত হয়েছিলো তার মামলা।

আপিলে আরও অভিযোগ করা হয়, উন্মুক্ত বিচারের জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশ থাকার পরও জনসাধারণ, মিডিয়া ইত্যাদিকে নির্দ্বিধায় বিচারের সাক্ষী হতে দেওয়া হয়নি, বরং সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ও তাদের আইনজীবীদের না জানিয়েই আদালতের কক্ষ পরিবর্তন করে গোপনে কার্যক্রম পরিচালনা করে হয়েছিলো।