মিয়ানমার জান্তার শক্তি কমছে: থাই প্রধানমন্ত্রী

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন বলেছেন, মিয়ানমারের সামরিক সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরুর ভালো সময় এখন। কারণ ২০২১ সালে অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করা জান্তা শক্তি কমছে। রবিবার (৭ এপ্রিল) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেছেন।

মিয়ানমারের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র বিদ্রোহ চলছে। জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিচ্ছে গণতন্ত্রপন্থি বিপ্লবী সরকার। ইতোমধ্যে বিদ্রোহীরা বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি ও শহর দখল করেছে। এর মধ্যে রবিবার থাইল্যান্ড সীমান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর রয়েছে।

২০২১ সালে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর এই বিদ্রোহ মিয়ানমার জান্তার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।

থাই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বর্তমান শাসক কিছু শক্তি হারাতে শুরু করেছে। কিন্তু শক্তি হারালেও তাদের ক্ষমতা রয়েছে, তাদের অস্ত্র রয়েছে। হয়ত তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর এখন সময়।

গত বছর আগস্টে স্রেতা ক্ষমতায় আসার পর থেকে মিয়ানমারের সঙ্গে একাধিক ক্ষেত্রে কাজ করছে থাইল্যান্ড। একটি মানবিক উদ্যোগের আওতায় মিয়ানমারে ত্রাণ সরবরাহও করছে দেশটি।

গত মাসে মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে থাই পার্লামেন্টে একটি সেমিনার আয়োজন করা হয়েছিল। মিয়ানমার জান্তার আপত্তির পরও এতে সামরিক শাসনবিরোধীরা উপস্থিত ছিলেন।

স্রেথা বলেছেন, থাইল্যান্ডের কাছে মিয়ানমার খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ও থাই কর্মকর্তারা মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠী ও চীন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বলেছেন, মিয়ানমার ঐক্যবদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ হলে সবচেয়ে লাভবান হবে থাইল্যান্ড।

মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে সোমবার থাই সরকারের এক মুখপাত্র ছাই ওয়াচারং বলেছেন, আন্তর্জাতিক সংঘাতে কোনও পক্ষ নেবে না থাইল্যান্ড এবং দেশটির নীতি হলো সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান।

স্রেথা বলেছেন, মন্ত্রিসভা, সিনিয়র সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিয়ানমারনীতি নিয়ে মঙ্গলবার তিনি বৈঠক করার পরিকল্পনা করছেন।

তিনি বলে, আমি পাঁচ বা ছয় জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করব। নিশ্চিত করবো যে আমরা সবাই একই অবস্থানে রয়েছি।